বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

শেষ হলো চরমোনাইয়ে ১৫ দিনের তারবিয়াত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

[caption id="attachment_3086" align="alignleft" width="462"]charmonai ফাইল ফটো[/caption]

নিজস্ব প্রতিনিধি : কান্নাভেজা কণ্ঠের আমিন আমিন ধ্বনির মধ্য দিয়ে ভেঙে গেল আল্লাহপ্রেমিকের মিলনমোলা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আজ ২১ জুন মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হল ঐতিহাসিক চরমোনাই’র বিশেষ তালিম তারবিয়াত, মাহফিল ও হালকায়ে জিকির।

বরিশাল মহানগরী থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীতীরের চরমোনাই ময়দান ও এর সন্নিহিত এলাকায় তখন লোকে লোকারণ্য। ফজর নামাজবাদ উপস্থিত হাজার হাজার ইসলামী জনতার উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বয়ান শেষে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই প্রায় ২২ মিনিট ধরে এ মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত মুরিদানসহ সকল মুমিন মুসলমান ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বুকভাসানো কান্নায় মহান আল্লাহরাব্বুল আলামিনের দরবারে পানাহ চেয়ে রহমত কামনা করেন।

পীর সাহেবের সাথে হাজার হাজার মুসল্লির বুকফাটা কান্না ও আহাজারিতে গোটা চরমোনাই এলাকাজুড়ে এ ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রতিটি মানুষই যেন তাওবা ও অনুতাপের অশ্রু দিয়ে মুছে ফেলেন বিগত জীবনের পাপ-পঙ্কিলতার সব কালিমা।

গত ৭ জুন শুরু হওয়া ১৫ দিনব্যাপী মাহফিলে আখেরি মোনাজাতের আগে পীর সাহেব তার মুরিদান ও অনুসারীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামুলক বয়ানে বলেন, শুধু জানা নয়; মানার নাম ইসলাম। এ মাহফিলে বিভিন্ন আলেম-উলামার জবান থেকে আমরা যা কিছু শুনলাম জানলাম, সে অনুযায়ী আমরা যদি বাস্তব জীবনের আমল করতে পারি, তবেই কেবল সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে এখানের অবস্থান সার্থক হবে। তিনি সবাইকে শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত থেকে সমাজের ভ-পীর এবং বাতিল পন্থীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকারও নসিহত করেন।

পীর সাহেব বলেন, বিশুদ্ধ ঈমান-আমলের মাধ্যমে আখেরাতে জাহান্নাম থেকে নাজাতের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। কোন পীর কারো জান্নাতের জামিন হতে পারেন না। তিনি শরীয়তের ওপর মজবুত থেকে জান্নাতের উপযুক্ত হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তারবিয়াত মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীরুল মজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম, মাওলানা মুজিবুর রহমান কালিশ্বরী, মাওলানা জিয়াউল করীম, মুফতী এছহাক মু. আবুল খায়ের চেয়ারম্যানসহ দরবারের খলিফাগণ।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ