শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


করোনা ভাইরাস: সৌদিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু ৪, সুস্থ ৫৯

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরহাদ খান নাঈম

গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এনিয়ে করোনা ইস্যুতে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৩ জনে।

তিনি বলেন, নতুন মারা যাওয়া ৪ জনের কেউই সৌদি নাগরিক নন। এবং এদের প্রত্যেকের বয়স ৩৫ থেকে ৮৯ এর মধ্যে। এরা সকলে আগে থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।

করোনা ভাইরাসের নতুন শনাক্ত ৫১৮ টি কেইসসহ এ পর্যন্ত সৌদিতে মোট ৬৩৮০ টি কেইস শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্য থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৫৯ জন। এনিয়ে মোট আক্রান্তের ৯৯০ জন সুস্থ হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

গত সোমবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরব উপসাগরীয় দেশগুলোতে সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০০ ছাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৬ই মার্চে বাহরাইনে ১ জন করোনা রোগী মারা যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত উপসাগরীয় দেশগুলোতে লকডাউন সক্রিয় রয়েছে।

আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্য থেকে সৌদিতে সবচেয়ে বেশি করোনা কেইস শনাক্ত করা হয়েছে। এবং মৃত্যু্র হারের দিক থেকেও সৌদিই এগিয়ে আছে। যেহেতু জনসংখ্যা ও আয়তন উভয় দিক থেকে এটিই উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।

সৌদির মোট জনসংখ্যা ৩৪.৭৬ মিলিয়ন যা উপসাগরীয় অন্যান্য দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। এবং সৌদিতে প্রতি মিলিয়নে ১৮৪ টি করোনা কেইস শনাক্ত করা গেছে।

সৌদির স্থানীয় এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞ কর্তৃক চারটি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণার ভিত্তিতে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০,০০০ এ পৌঁছতে পারে বলে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করেছেন সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রবীয়াহ। যেখানে করোনা আক্রান্তের সর্বনিম্ন সংখ্যা আনুমানিক ১০,০০০ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদিও আমাদের সামগ্রিক প্রচেষ্টা ও লকডাউনে জনবিচ্ছিন্নতার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে জনসাধারণ লকডাউন আইন অমান্য করলে আক্রান্তের সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও জানান, সামনের দিনগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে নাকি কমবে এটি নির্ভর করছে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত সকল নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জনসাধারণ মেনে চলছে কিনা তার উপর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণের অনেকেই এই মহামারীর ভয়াবহতাকে সিরিয়াসলি দেখছেন না।

এদিকে এই মরণঘাতী ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সৌদি কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ পদক্ষেপগুলোর সর্বশেষ হিসেবে সৌদি সরকার দেশটির রিয়াদ, তাবুক, দাম্মাম, দাহরান, হফুফ, জেদ্দা, তাইফ, কাতিফ এবং খোবারসহ আরও অন্যান্য অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। আল রবীয়াহ বলেন, এই জরুরি অবস্থা জারির উদ্দেশ্য হলো যানবাহন চলাচল এবং লোকসমাগমের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখা। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রিপোর্ট অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত শতকরা ৪৬ ভাগ যানবাহন চলাচল করছে যা জরুরি অবস্থা জারির উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে।

সৌদিতে অবস্থানরত স্থায়ী-অস্থায়ী সকল নাগরিকের জন্য চাওয়া মাত্রই করোনার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে - মর্মে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ গত সপ্তাহে একটি আদেশ জারি করেন।

ইংলিশ.আলআরাবিয়া.নেট থেকে ফরহাদ খান নাঈমের অনুবাদ।

-ওই/আবদুল্লাহ তামিম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ