শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের আলী রীয়াজসহ সংস্কার কমিশনের সব সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে: মাওলানা ইউসুফী আমরা মওদুদি ইসলাম নয়, মদিনার ইসলামের অনুসারী: সালাহউদ্দিন নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে: প্রফেসর মুজিবুর রহমান জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশ ও শ্রমিকদের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করুন: ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন  জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথা চাড়া দিবে  ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা উত্তরের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত ৫০

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সফটওয়্যার আবিষ্কার, কমে যাবে সিজারিয়ান অপারেশন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড ম্যাথের ১০ম ব্যাচের কাওছার সিজার কমাতে আবিস্কার করেছে সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে কমে যাবে সিজারিয়ান অপারেশন।

জানা যায়, স্পিজনার অ্যান্ড স্কোপাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্সের বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড ম্যাথের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাওছার।

গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

কনফারেন্সটির মূল ট্যাগলাইন ছিল- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটিতে নতুন আবিষ্কারগুলো সামনে নিয়ে আসা। পাশাপাশি দেশকে নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্পর্শে আনা। পৃথিবীর প্রায় ২০টির বেশি দেশ থেকে গবেষক, অধ্যাপক, বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণাগুলো জমা দেন।

এর মধ্যে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডের তালিকায় জায়গা করে নেন নোবিপ্রবির আহমেদ কাওছার। তার গবেষণাটি ছিল মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে একজন গর্ভবতী নারীর ডেলিভারি মোড প্রিডেকশন করা যাবে।

কাওছার জানান, ২০১৯ সালের জুনে একটি নিউজ দেখেছেন, যেখানে প্রতিবেদন করা হয়েছিল বাংলাদেশে সি-সেকশন ৫১% বেড়ে গেছে শেষ দুই বছরে। যেখানে প্রতি বছর ৪৮৩ মিলিয়ন ডলারে বেশি সি-সেকশনের পেছনে খরচ হচ্ছে, যা একদম অপ্রয়োজনীয়। ডাক্তার, মেডিকেল একধরনের মুনাফার লোভে ভয় সৃষ্টি করেছে সিজারের জন্য।

তিনি বলেন, আমার গবেষণাটি করার একমাত্র ভিশন এবং মিশন হচ্ছে একজন ডেলিভারি রোগীকে কি সত্যি সিজার করা লাগবে নাকি নরমাল ডেলিভারিতে হবে; সেটি এলগরিদম বলে দেবে। আমরা মেশিং লার্নিং অ্যান্ড ডিপ লার্নিং ব্যবহার করে মোটামুটি নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি একজন ডেলিভারি রোগীর কি সত্যি সিজার করা লাগবে কিনা।

তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে আমরা ৮৯ শতাংশের বেশি সঠিক প্রিডিকশন করতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু চিকিৎসক বা মেডিকেলগুলো এ ধরনের আবিষ্কারকে তাদের নিজেদের করে নেবে না, তাই তাদের মুনাফার ক্ষতি হবে। ভবিষ্যতে যদি কোনো ফান্ড পাই তাহলে সেটি এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যেন মানুষ নিজেরাই ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাদের বেবি ডেলিভারি নর্মালে হবে নাকি সিজারে।

কাওছার বলেন, এ গবেষণার জন্য আমাদের ডেটা নিয়ে অনেক বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নার্সিং অফিসার রায়হানা ইয়াসমিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাড়াইল কিশোরগঞ্জ আমাদের এই কাজের জন্য সব চেয়ে বেশি সহযোগিতা করছেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। একাজে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার জন্য ড. বাবুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানাই।

কাওছার স্বপ্ন দেখেন নোবিপ্রবির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিশ্ব দরবারে। সে আশা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন কাওছার।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ