রাজধানীতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদির ওপর হত্যার উদ্দেশে গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর পল্টনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মুনতাছির আহমাদ বলেন, এ দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্টকে বিদায় করেছে। দেশবাসী ভেবেছিল নতুন সম্ভাবনার হাতছানিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই যে নৃশংস হামলা বাংলাদেশ দেখেছে তা জাতিকে লজ্জিত করেছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা জালিমের বিপক্ষে, বাতিলের বিপক্ষে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ার মধ্য দিয়ে ২০২৬ সেশনের জন্য রাজপথে এসে শপথ গ্রহণ করেছি। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি রাজপথে আমাদের শপথ করতে বাধ্য করেছে। যতদিন পর্যন্ত বাতিলরা মাথা চাড়া দিবে, খুনিরা রাজপথে ঘোরাফেরা করবে, আস্ফালন দেখাবে, হত্যাকারীরা বাইরে ঘুরবে, সন্ত্রাসীরা বাইরে ঘুরবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই এবং সংগ্রাম চলছে চলবেই ইনশাআল্লাহ।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত নীলনকশা জুলাইকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আরও বলেন অনতিবিলম্বে এই হামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি দেশবাসীর কাছে শারীফ ওসমান হাদীর সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন।
সেক্রেটারি জেনারেল সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হোসাইন ইবনে সরোয়ার ও ইমরান হোসাইন নূর।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ফয়জুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তথ্য-গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাইমুন ইসলাম মিঠুন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ইউসুফ পিয়াস, দফতর ও যোগাযোগ সম্পাদক আশিক আনোয়ার, দক্ষতা উন্নয়ন ও বিতর্ক সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাহমুদ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ।
এনএইচ/