মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ-কাফের’ আখ্যা দিলেন রাবি শিক্ষক তারেক রহমান দেশে ফিরলে কোনো ধরনের বাধা বা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ নেই : সারজিস আলম ‘ইসলামপন্থীরা এক থাকলে জাতীয় স্বার্থে কেউ আঘাত করতে পারবে না’ হাতপাখা নিয়ে লড়ছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের শীর্ষ ৮ নেতা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, জরিপ যা বলছে যশোরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যৌথ মতবিনিময় সভা তরুণ কওমি-ওলামার প্রতি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় মাওলানা আবুল কালামের শয্যাপাশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ তফসিল ঘোষণার তারিখ জানালেন ইসি মাছউদ ‘দুর্ভাগ্য ১০০ বছরেও আরেকজন বেগম রোকেয়া সৃষ্টি করতে পারিনি’

যশোরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের যৌথ মতবিনিময় সভা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গতকাল ৮ ডিসেম্বর সোমবার যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস–যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যশোর জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান। সঞ্চালনায় ছিলেন—জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ।

সভায় যশোরের ছয়টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা অংশ নেন। তারা হলেন-

যশোর–১ (শার্শা): শাইখুল হাদিস মাওলানা নাজির উদ্দিন আহমাদ। তিনি একজন বিজ্ঞ মুফাসসির, মাদরাসার প্রিন্সিপাল, সমাজসেবক ও পরিচিত আলেম। দীর্ঘদিন এলাকায় ইসলামি শিক্ষা বিস্তার, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তা ও তরুণদের নৈতিক উন্নয়নে কাজ করে আসছেন।

যশোর–২ (চৌগাছা–ঝিকরগাছা): মাওলানা রুহুল কুদ্দুস। তিনি একজন দ্বীনি শিক্ষাবিদ, দাওয়াতি সংগঠক ও এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী। সমাজ সংস্কার, শিক্ষা বিস্তার, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং মসজিদ–মাদরাসা খেদমতে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

যশোর–৩ (সদর): হাফেজ মাওলানা রমিজ উদ্দিন। তিনি হাফেজ মাওলানা রমিজ উদ্দিন একজন প্রবীণ শিক্ষক, নৈতিকতার প্রচারক। দীর্ঘদিন যশোর সদরে শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের কাজে যুক্ত আছেন। দাওয়াতি কাজে দিকনির্দেশনা এবং ব্যক্তি–উন্নয়নের কাজে তাঁর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

যশোর–৪ (অভয়নগর–বসুন্দিয়া–বাঘারপাড়া): মাওলানা মাসুম বিল্লাহ। তিনি একজন অভিজ্ঞ ইসলামি শিক্ষাবিদ, সুবক্তা লেখক, সমাজসেবক, স্কুল মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও দাওয়াতি ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ দুই দশক ধরে অভয়নগর–বসুন্দিয়া–বাঘারপাড়ায় দ্বীনি শিক্ষা বিস্তার, মানবসেবা, হজ ব্যবস্থাপনা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁর অবদান সুপরিচিত। করোনা কালীন কাফন দাফন সেবা, নওমুসলিম সহায়তা ও বন্যা দুর্গতদের  সহযোগিতায় তার অবদান সুবেদিত।

যশোর–৫ (মনিরামপুর): প্রভাষক মাওলানা আব্দুল করিম। তিনি একজন প্রভাষক, গবেষক, ইসলামি চিন্তাবিদ ও সমাজসেবক। মনিরামপুর এলাকায় শিক্ষা বিস্তার, মানবিক সহায়তা, যুব উন্নয়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তার দীর্ঘদিনের ভূমিকা রয়েছে।

যশোর–৬ (কেশবপুর): মাওলানা আব্দুল হাই। তিনি একজন সম্মানিত আলেম, সমাজকর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ের নিরলস পরিশ্রমী নেতা। কেশবপুরে ইসলামি মূল্যবোধ প্রচার, মসজিদ–মাদরাসা উন্নয়ন ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে তাঁর কাজ ব্যাপক পরিচিত।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ