বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামোফোবিয়ায় ইউরোপকে লেবানন থেকে শিক্ষা নিতে বললেন পোপ  গুমের দুই মামলায় হাসিনার নতুন আইনজীবী সেই আমির হোসেন ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ, বাংলাদেশ হবে ইসলামের: পীর সাহেব চরমোনাই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে শায়খে চরমোনাই ‘আট দলই এবারের নির্বাচনের বড় চমক’ অর্থবহ নির্বাচনের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ চায় জমিয়ত অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে লিভ টু আপিলের আদেশ বৃহস্পতিবার অশ্লীল গালাগালি ও বাজে মন্তব্য ইসলামি দলের কর্মীদের শোভা পায় না দাওয়াতুল হকের ৩০তম মারকাজি ইজতেমা শনিবার এভারকেয়ারের পাশে উড়বে সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার, বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ

‘আট দলই এবারের নির্বাচনের বড় চমক’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর আমির জান্নাতুল ইসলাম এবারের নির্বাচনে আটটি ইসলামি দলের জোটকে বড় চমক হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিএনপি বড় দল নয় দাবি করে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো ভারতের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে না চাইলে এবং সেনা অফিসার হত্যার ‘কারিগরদের’ উচ্ছেদ করতে চাইলে জনগণকে ইসলামিক শক্তির পাশে দাঁড়াতে হবে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ৮ ইসলামি দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবির পক্ষে ৫ ডিসেম্বর লালদীঘি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে’ জনগণ ন্যূনতম রাজনৈতিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, এই রক্তের বিনিময়েই এসেছে দেশের বর্তমান পরিবর্তন।

তিনি বলেন, সব দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংস্কার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার। এই লক্ষ্যেই সকল রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে-ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা নির্ধারণে জনগণের মতামতই হবে সর্বোচ্চ ভিত্তি।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। এগুলো হলো-(১) জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন (২) সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) চালু (৩) সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অবাধ নির্বাচন (৪) জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, এবং (৫) জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।

আসন্ন ৫ ডিসেম্বর সমাবেশে থাকবেন জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবল্লাহ মিয়াজী এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, ইসলামী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর আমির জান্নাতুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস মহানগর আমীর মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, অধ্যাপক খুরশিদ আলম, মাওলানা জিয়াউল হোছাইন, জাগপার নগর সভাপতি আবু জাফর মোহাম্মদ আনাস এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ