সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ৯ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কনটেন্ট নির্মাতা তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সুযোগ কাজে না লাগালে আগামী প্রজন্ম ধিক্কার দেবে’ ফজলুর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ছাত্রশিবিরের, সাংগঠনিক শাস্তি দাবি ফজলুর বক্তব্য প্রত্যাহার ও বহিষ্কার চেয়ে ৯৭ সংগঠনের যৌথ বিবৃতি কেন জাহাজে হজে নেওয়া গেল না, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা ৬ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন দেওবন্দের মুফতি সালমান মানসুরপুরী ১২ রবিউল আউয়াল ৬ সেপ্টেম্বর ঢাবিতে ফজলুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরতন্ত্রের সুপ্ত বীজ যাদের মধ্যে আছে তারাই সংবাদ প্রকাশে বাধা দেয়’  খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী

ফজলুর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ছাত্রশিবিরের, সাংগঠনিক শাস্তি দাবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান কর্তৃক জুলাই আন্দোলনকারীদের ‘কালো শক্তি’ বলে মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

রোববার (২৪ আগস্ট) এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। সহস্রাধিক মানুষের জীবন, হাজার হাজার মুক্তিকামী জনতার রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসন থেকে দেশবাসী আজাদি লাভ করে। অথচ জাতিকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সেই ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে ‘কালো শক্তি’ আখ্যায়িত করে প্রকারান্তরে জুলাই অভ্যুত্থানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা তার এ ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নেতারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি—সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী বয়ান প্রচার করে যাচ্ছেন। অভ্যুত্থানকে ‘অপশক্তির ষড়যন্ত্র’ বলেও ফ্রেমিং করছেন। এমনকি অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে ক্রমাগতভাবে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে তীব্র কটাক্ষ করে যাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, ফ্যাসিবাদের প্রতীক আওয়ামী মুজিববাদ ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে নানা ভঙ্গিমায় তিনি মুজিব বন্দনাও করে যাচ্ছেন এবং অযাচিতভাবে মুক্তিযুদ্ধকে জুলাইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করানো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি দলের প্রধানের উপদেষ্টা পদে থেকে ধারাবাহিকভাবে এমন বক্তব্য দেওয়া হলেও তার বিরুদ্ধে দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; বরং তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।

জাহিদ-সাদ্দাম আরও বলেন, ফজলুর রহমানের বক্তব্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট। তিনি জুলাই যোদ্ধাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে এবং অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে আসলে জুলাই গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে : আওয়ামীপ্রেমী ফজলুর রহমান গংদের লালন-পালনকারী দল রাষ্ট্রক্ষমতা পেলে জুলাই শহীদ ও যোদ্ধারাই কি উল্টো বিচারের মুখোমুখি হবেন?

উদ্বেগ জানিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দুই নেতা বলেন, শহীদদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার ক্ষমতায় থাকলেও গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের মতো করেই জুলাই আন্দোলনকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যা জুলাইয়ের শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। আমরা অবিলম্বে ফজলুর রহমানকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছি।

হুঁশিয়ার করে তারা বলেন, দলীয়ভাবে তার কর্মকাণ্ড জবাবদিহির আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি আরোপ করতে বিএনপির নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জুলাই অভ্যুত্থানের সংঘবদ্ধ শক্তিরা এর যথোপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ