রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন এবং ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ জুন দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর এক দিন আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে), সকাল ১০টা থেকে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে জামায়াতের আপিলের শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ওই শুনানি চলে দুপুর পর্যন্ত। পরে তা স্থগিত করে বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
এর আগে, ৭ মে আপিল বিভাগে শুনানির দ্রুততার আবেদন করা হয়। তখন আদালত ১৪ মে দিন নির্ধারণ করেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যায়। শুনানির সময় তাদের প্রধান আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে আপিলটি বাতিল ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এরপর, ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগের আরেক আদেশে জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে তারা আবারো দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াই শুরু করতে পারে।
এই মামলায় জামায়াতের পক্ষের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ওই রায়ের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আপিল করলেও নানা জটিলতায় শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে পুনরুজ্জীবিত আপিলের শুনানি শুরু হয় চলতি বছরের ১২ মার্চ।
এদিকে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট সরকার জামায়াত ও তাদের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায়।
এসএকে/