ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির, শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পয়লা বৈশাখে স্বৈরাচারের মোটিফ প্রদর্শিত হয়েছে। এটা একটা রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। যারা এসব মোটিফ নির্মাণ করেছে তারা কেবলই শিল্পী হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের চরিত্র এতোটাই হিংস্র ও অসহিষ্ণু যে, চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে ফ্যাসিবাদের মোটিফ নির্মাণের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত করে তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এটা একজন শিল্পী ও একজন সংখ্যালঘুর সাথে নির্মমতার নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
মুফতি ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই বলেন, রাজনীতিতে নোংরামী যুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ, শিল্পকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ। পতিত স্বৈরাচারই দেশের হিন্দুদের প্রতি সবচেয়ে বেশি নির্মমতা করেছে এবং অবিরাম মিথ্যা বলে তার দায় ইসলামপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপরে চাপিয়েছে। তাদের রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে কোন হিন্দু অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগ তার সাথে কত নির্মম আচরণ করতে পারে তার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই সহিংসতার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কারণ সাম্প্রতিক অতিতের কিছু ঘটনার ধারাবাহিকতায় এই ধারণা জন্ম নিচ্ছে যে, পতিত ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছে তাদের ওপরে গুপ্ত হামলা করে তাদের জান-মালের ক্ষতি সাধন করছে পতিত ফ্যাসিবাদের অবশিষ্টাংশ। এই প্রবনতা অব্যাহত থাকলে আওয়ামী স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলতে মানুষ ভয় পাবে। এটা জাতির জন্য শুভকর না। তাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এমএইচ/