বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মনোনয়ন না পেয়ে এবি পার্টিতে যোগ দিলেন জমিয়ত একাংশের নেতা বিজয় দিবসে খুলনা নগরীতে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ বিজয় দিবসে বিভিন্ন উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও র‍্যালি শান্তিতে নোবেল: মনোনয়ন পেলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও গাজার চিকিৎসকেরা বাংলাদেশ চলবে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে: জামায়াত আমির শীতে গাজায় নবজাতকের মৃত্যু, ত্রাণ বাধায় মানবিক সংকট আরও গভীর শীতে এক কাপ তুলসি চা আপনার যেসব উপকার করবে একাত্তরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তা অর্থবহ হয়নি: চরমোনাই পীর ফিলিস্তিনিসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ফরিদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর এক বিশাল বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত 

প্রার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় নেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভাবতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি এনায়েতুল্লাহ

জাতির বহুল কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণা করা হলেও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র থেমে নেই, বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এর মধ্যে নির্বাচন বানচালের নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে। কুশীলবরা থেমে আছেন, এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।

ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীদের উৎপাৎ বেড়ে গেছে। অনেকে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হচ্ছে, কিশোর গ্যাং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে এগুলো অ্যালার্মিং বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রচারের মাঠ হতে হবে সমতল। অর্থাৎ লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের যেমন দায় আছে, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোকেও তা অনুধাবন করতে হবে।

নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রতিপক্ষ দলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি রাজধানীতে প্রার্থীকে গুলি করা হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামনে কী হবে, সেটা বলতে পারি না। তবে সর্বাবস্থায় শান্তি চাই, সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ চাই।

এমতাবস্থায় জুলাই অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া জরুরি বলে মনে করছি। বিশেষ করে যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। এর পাশাপাশি সব দলের প্রার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় নেতাদের নিরাপত্তার বিষয়েও ভাবতে হবে।

সেই সঙ্গে মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে উত্তেজনা তৈরি, গুজব রটিয়ে প্রতিপক্ষকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফন্দি, প্রতিদ্বন্দ্বীকে হামলা করে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টাও সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে।

রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়ানোর ঘটনা আগেও দেখা গেছে, কিন্তু এবার সেটা তীব্র হয়েছে। নানা লেভেলে, নানা ভঙ্গিমায় কাজগুলো নতুন নতুন মোড়কে করা হচ্ছে।

আমরা মনে করি, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জাতির চাওয়া। জাতির এ প্রত্যাশা যেকোনো মূল্যে পূরণ করতেই হবে। তাই অন্তর্বর্তী সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতার চর্চা করা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং নিরপেক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জাতির প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ