সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি দেশবাসী দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিতে প্রস্তুত: জামায়াত সেক্রেটারি ‘পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনে দেশকে আগের অবস্থায় নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না’ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে: খেলাফত মজলিস এআই (AI) ভিত্তিক জ্ঞান ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার এটি সময়ের দাবি

‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে হিজাব-নিকাব পরে কেন পড়াশোনা করতে পারবে না!’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হিজাব ও পর্দার মতো ধর্মীয় পোশাক পরিধান নিয়ে চলমান অস্থিরতার স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। রোববার (৩১ আগস্ট) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি সংবিধানের মৌলিক অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পোশাকের অজুহাতে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার জন্য রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারির আহ্বান জানান।

শায়খ আহমাদুল্লাহ তাঁর স্ট্যাটাসে নাগরিকদের ধর্ম পালনের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘ড্রেসকোডের খোঁড়া অজুহাত তুলে কারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা সংবিধান পরিপন্থী কাজ।’ তিনি আরও যুক্তি দেন যে, বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে হিজাব-নিকাবের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা এক ধরনের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হতে পারে, যার পেছনে বিশেষ কোনো এজেন্ডা থাকা অস্বাভাবিক নয়।

হিজাব পরিধানের অধিকারের সপক্ষে শায়খ আহমাদুল্লাহ শিখ সম্প্রদায়ের পাগড়ির উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পাগড়ি শিখদের ধর্মীয় প্রতীক। পাগড়ি পরে তারা যদি পৃথিবীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারে, এমনকি বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি করতে পারে, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে হিজাব-নিকাব পরে মেয়েরা কেন পড়াশোনা করতে পারবে না!’ এই উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন যে, ধর্মীয় পোশাকের বিষয়ে একটি বৈশ্বিক সহনশীলতা থাকলেও বাংলাদেশে তা নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বিশ্বাস করেন, এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তাই তিনি রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন ড্রেসকোডের অজুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না হয় এবং এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি করা হয়। তাঁর মতে, এটি কেবল একটি পোশাকের বিষয় নয়, বরং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ