মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন অধ্যাদেশ কিংবা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে : বুলবুল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা আর অর্জনের মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে: জমিয়ত মহাসচিব দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘নতুন প্রস্তাব’ পেল হামাস ‘ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা টেকসই করতে শরিয়াহ অডিটর তৈরি করা জরুরি’ ভারতের ছয়টি বিমান ভূপাতিত করার ভিডিও আছে: পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আলেমদের মধ্যে মূল উৎস থেকে গবেষণার আগ্রহ কম’ আ. লীগ আমলের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী ঢাকা-৮ আসন নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন রিকশা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা ফয়সাল

তারেক রহমান কি ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থানের ঘোষণা দিলেন?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী ||

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক জিয়া লন্ডনে বসে সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশ যেন চরমপন্থা ও মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়। আমরাও যেকোনো স্থানে যেকোনো নামে চরমপন্থী তৎপরতার বিরোধী। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে মৌলবাদ বা মৌলবাদী বলতে ইসলামপন্থীদের বোঝানো হয়। প্রশ্ন হলো, তারেক রহমান সাহেব কি  ইসলামি রাজনীতি ও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

আমরা স্মরণ করতে চাই, স্বাধীনতার পরে আওয়ামী আমলে রচিত  সংবিধানের শুরুতে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' ছিল না । বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের সংবিধানে শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করেন। এছাড়া সংবিধানের চারটি মূলনীতির মধ্যে একটি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। 

তিনি ধর্মনিরপেক্ষতবাদ বিলুপ্ত করে  'মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সবকিছুর মূল' এই  মূলনীতি সংযোজন করেন। বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র বলতে নাস্তিকতা বোঝায়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানের চার মূলনীতির অন্যতম সমাজতন্ত্রেও পরিবর্তন এনে সমাজতন্ত্রকে সামাজিক ন্যায় বিচারের অর্থে নামে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেন। তার গৃহীত নানা পদক্ষেপ প্রমাণ করে, তিনি এখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মুসলিম জাতিসত্তা ভিত্তিক বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের উত্থান চেয়েছিলেন। 

তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যতদিন ক্ষমতায় ছিলেন ততদিন তারেক জিয়া সাহেব যাদেরকে মৌলবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন সেই মৌলবাদীদেরকে সাথে নিয়ে ক্ষমতা চর্চা করেছেন। তারেক জিয়া দীর্ঘদিন বিলাতে আছেন। তার মোসাহেবরা দেশের মানুষ সম্পর্কে তাকে যে ধারণা দেয়, তার ভিত্তিতে হয়ত তিনি মৌলবাদ পরিভাষা দিয়ে এখনকার ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং ধর্মীয় চেতনাকে আঘাত করেছেন। 

আমরা তার এই বক্তব্য এবং এই শব্দ চয়ন প্রত্যাখ্যান করি এবং তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বলিষ্ঠভাবে বলতে চাই যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার একমাত্র মূলনীতি হতে পারে, এখানকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মুসলিম জাতিসত্তার চেতনাকে মজবুত করা, যে কাজ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শিতার সাথে করেছিলেন। 

বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিনও চরমপন্থা সমর্থন করেনি ও করবে না। দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের গায়ে চরমপন্থার টেগ লাগানোর চেষ্টার ফলে শেখ হাসিনার যে করুণ দশা হয়েছে সেই মর্মান্তিক পরিণতি দেখার পরও বিএনপি নেতা কীভাবে এমন বয়ান দিতে পারেন, ভাবতেই অবাক লাগে। আমরা তার এই বক্তব্য ও শব্দচয়ন প্রত্যাহার চাই।

লেখক: গবেষক, অনুবাদক ও রাজনীতিবিদ

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ