শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ সফর ১৪৪৭


২৩ বছর আগের এই দিনটি আজও মনে পড়ে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মুহাম্মাদ আব্দুল আলীম ||

২৩ বছর আগের কথা। ১৫ আগস্ট ২০০২। অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি ঘটনা এদিন ঘটেছিল। নিষ্পাপ তাজাপ্রাণ ইলমে নবুওয়াতের ঝান্ডাবাহী তালিবুল ইলম,আমার ভাই আবুল বাসার, হাফেজ ইয়াহইয়া, রেজাউল করীম ও মুসল্লী জয়নুল আবেদীন এদিন শাহাদাত বরণ করেন। 

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা মালিবাগে এ কলংকময় বর্বর হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল। মুসলিম জাতির প্রতি চরম বিদ্বেষী জনৈক কাদিয়ানির ভাড়াটিয়া কতগুলো বর্বর পশু রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করেছিল। সন্ত্রাসী চক্রের গুলিতে এক এক করে শহীদ হয়েছিল চারটি তাজা প্রাণ।

ঘটনাটি ঘটেছিল এমন সময় যখন ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী(?) চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায়। শোকাহত জাতি অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছে পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ। সেদিন যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছিল বাইতুল আযীম জামে মসজিদকে কেন্দ্র করে তা চৌদ্দ কোটি মুসলমানের অন্তরে মারাত্মক ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল।

১৫ আগস্ট ২০০২ সালে মালিবাগ বাইতুল আযীম জামে মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করার অপচেষ্টা করে সেই কাদিয়ানি গোষ্ঠী। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তাওহীদী জনতা। সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নেমে আসে ইসলামপ্রিয় তাওহীদী জনতা। সেই প্রতিবাদী মিছিলে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে শহীদ করা হল নববী উদ্যোনের তিনটি পুষ্প ও একজন নিরীহ মুসল্লীকে!

ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে মসজিদের পবিত্রতা রক্ষায় তারা বুকের তাজা রক্ত ডেলে দিয়েছিলেন।

মসজিদের দেশ বাংলাদেশ এবং মসজিদের শহর হিসেবে পৃ©র্থবী জুড়ে ঢাকার সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে।  সেই মসজিদের দেশে, মসজিদের শহরে মসজিদপ্রিয় মুসল্লী ও ছাত্র-জনতাকে মসজিদ রক্ষার দাবিতে সোচ্চার হওয়ার কারণে গুলি করে শহীদ করার ঘটনা নিঃসন্দেহে ন্যক্কারজনক।

দুর্ভাগ্য আমাদের । যারা তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাল, শহীদ করল, তাদেরকে আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলাম না। অথচ এক এক করে কতগুলো বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার যারা জন্ম দিল তাদের কোনো বিচার হলো না। 

লেখক: মাদরাসা শিক্ষক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ