বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২ পৌষ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
মনোনয়ন না পেয়ে এবি পার্টিতে যোগ দিলেন জমিয়ত একাংশের নেতা বিজয় দিবসে খুলনা নগরীতে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ বিজয় দিবসে বিভিন্ন উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও র‍্যালি শান্তিতে নোবেল: মনোনয়ন পেলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও গাজার চিকিৎসকেরা বাংলাদেশ চলবে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে: জামায়াত আমির শীতে গাজায় নবজাতকের মৃত্যু, ত্রাণ বাধায় মানবিক সংকট আরও গভীর শীতে এক কাপ তুলসি চা আপনার যেসব উপকার করবে একাত্তরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তা অর্থবহ হয়নি: চরমোনাই পীর ফিলিস্তিনিসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ফরিদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর এক বিশাল বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত 

ইসলামি দলগুলো কেন প্রচার পায় না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি এনায়েতুল্লাহ

গণসংহতি আন্দোলনের জুনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের ভিপি নুর, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার দলের লোক সংখ্যা খুব নয়। বিভক্ত বাম দলগুলোর তো ব্যানার ধরারও লোক পাওয়া যায় না। এসব দলের তুলনায় ছোট ছোট ইসলামি দলের নেতাকর্মী বেশি। তাদের মিছিল-সমাবেশে লোক বেশি হয়। বড় ইসলামি দলের কথা বাদই দিলাম।

তারপরও এসব ইসলামি দলের প্রধান থেকে জুনায়েদ সাকি, ভিপি নুর, মাহমুদুর রহমান মান্না, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জুকে মানুষ বেশি চেনে। মিডিয়া কাভারেজ পার তাদের কর্মসূচি।

এখানে মূলত পার্টি বড় বা ছোট বিষয় না। বিষয় ইসলামি দলগুলোর তুলনায় এসব দলের প্রেস টিম শক্তিশালী। তারা পিআর বোঝে, ব্র্যান্ডিং বোঝে। গণমাধ্যমকে গুরুত্ব দেয়, পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখে।

বর্তমানে প্রায় ইসলামি দলই মিডিয়া নিয়ে ভাবছে, বিষয়টি ভালো। তবে তাদের কাজ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ দলের প্রচার টিম গ্রুপে তাদের নিউজ ও ছবি দিয়ে দায়িত্ব শেষ মনে করেন।

জামায়াতে ইসলাম ছাড়া অন্যকোনো ইসলামি দলের দায়িত্ববান প্রেস টিম নাই। তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ককে প্রফেশনাল সম্পর্কে উন্নীত করতে পারেননি। উল্টো সাংবাদিককে বিভিন্ন দলের লোক বলে ট্যাগ দিয়ে আনন্দ পান। ফলে, যেসব সাংবাদিকর টুকটাক ইসলামি দলের নিউজ ধরতো, তারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

আরেকটি বিষয় হলো, ইসলামি দলের নেতারা সাংবাদিকদের সহযোগিতা করেন না। অনেক সময় সাংবাদিকরা তাদের কাছে কোনো তথ্যের জন্য ফোন দিলে, সময়মতো তথ্য পায় না। আর বড় নেতাদের কমেন্টস নিতে হলে ৭২ ঘণ্টা ঘুরেও লাভ হয়। আর কোনো সংবাদের আগাম ক্লু দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টির টিন্তা তো বর্তমান প্রেস টিমের মাথায়ই নেই। আবার কোনো পত্রিকা তাদের নিয়ে সমালোচনা করলে, একটু বিরোধীতা করলে তো কথাই নেই, একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার চরিত্রহননে।

বলা চলে, ইসলামি দলগুলো না বোঝে পিআর, না বোঝে ব্র্যান্ডিং। তারা ভাবেন, আমরা দয়া করে তোমাকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করেছি, এই তো বেশি- এবার আপনি আমাদের কথা লিখবেন, শুধু আমাদের কথা। কোনো সমালোচনা, বিরোধিতা কোনোভাবেই চলবে না।

অথচ ইসলামি দলগুলোর যে বিশাল কর্মী বাহিনী আছে, সেটাকে সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারে প্রেস টিম। এক্ষেত্রে পিআর আর ব্র্যান্ডিং বোঝাটা জরুরি। সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে। বলে দিলাম, এটা বুঝলে আগামী নির্বাচনে তারা ভালো করবে। কারণ বলার দরকার নেই।

এই সামান্য কাজটুকু না করলে, আফসোস করতে হবে। আর না হলে কয়দিন পর পর শুধু এই পত্রিকা ওই পত্রিকা খারাপ, আজ এই সাংবাদিক কাল ওই সাংবাদিক মন্দ, সে হয়তোবা অমুক দল করে- কারণ তাকে অমুক দলের নেতার সঙ্গে হেসে কথা বলতে দেখেছি, সে অমুকের সঙ্গে চা খায় ইত্যাদি বলে ক্ষোভ প্রকাশ ছাড়া উপায় নেই।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ