মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বরং তিনি ভারতের কাছে আশ্রয় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
১৯ নভেম্বর ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, “ভারত আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।” তিনি দাবি করেন, জঙ্গিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করছিল এবং সেই পরিস্থিতিতে ভারত তাকে নিরাপত্তা দিয়েছে।
জয় সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নেওয়া আইনি প্রক্রিয়াকে অবৈধ আখ্যা দেন। তার অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার বিচার শুরু হওয়ার আগেই ১৭ জন বিচারককে বরখাস্ত করেছে, সংসদের অনুমোদন ছাড়াই আইন সংশোধন করেছে এবং হাসিনার আইনজীবীদের আদালত থেকে নিষিদ্ধ করেছে। তার মতে, ন্যায্য বিচারিক প্রক্রিয়া না থাকলে কোনো দেশই প্রত্যর্পণে সম্মত হবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার নাকি ‘হাজার হাজার সন্ত্রাসী’কে মুক্তি দিয়েছে এবং লস্কর-ই-তৈয়বা এখন বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে—যাদের সঙ্গে দিল্লির সাম্প্রতিক হামলার যোগসূত্র রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। জয়ের মতে, এসব কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ থেকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সাক্ষাৎকারে জয় আরও কয়েকটি বিতর্কিত দাবি তোলেন—
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নাকি জঙ্গিদের (অর্থাৎ ছাত্র জনতা) অস্ত্র সরবরাহ করেছিল;
এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন ইউএসএইডের অর্থ ব্যবহার করে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে লাখ লাখ ডলার ব্যয় করেছে।
শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে জয় বলেন, তার মতে ভারত সময়মতো আশ্রয় না দিলে জঙ্গিদের হামলায় তার মায়ের প্রাণহানি ঘটতে পারত।
এলএইস/