সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


৪৩ হাজার ২৪৭ জনের হজ নিবন্ধন সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে গতকাল রোববার দিবাগত মধ্যরাতে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বমোট ৪২ হাজার ৭৬৪ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৬৬৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৯ হাজার ৫৮৪ জন হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। হজযাত্রীর কোটার বেশির ভাগই খালি রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের দরুণ অনেক হজযাত্রী সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে হজের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। গত বছর নিবন্ধনের জন্য ৩ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। এবার হঠাৎ আরো ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে নিবন্ধনের সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গতকাল হজযাত্রী নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ায় আবাবিল হজ গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ, হাবের সাবেক অর্থসচিব আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুসাফির ট্রাভেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম আতাউর রহমান হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বর্ধিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, হজযাত্রী নিবন্ধনের কোটা পূরণ না হওয়ায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে শেষ বারের মতো হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারেন। বর্ধিত সময়ের পর আর কোনো সময় বাড়ানো হবে না বলেও সূত্র জানায়।

এদিকে হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার গতকাল ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, হজযাত্রীদের স্বার্থে হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নিবন্ধনের সময় আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে। হাব মহাসচিব যৌক্তিক কারণেই হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির জোর দাবি জানান।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধন কবে শেষ হবে সেটি সউদী আরবের সিদ্ধান্ত। সউদীর রোডম্যাপ অনুযায়ী গতকাল রোববার নিবন্ধনের সময় শেষ হয়েছে। সউদী সরকার নিবন্ধনের সময় না বাড়ালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। সময় বাড়ানোর জন্য সউদী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাদের অনুমতি পাওয়া গেলেই ধর্ম মন্ত্রণালয় সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ নভেম্বর জেদ্দায় সউদ-বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার কথা। সাধারণত সউদী হজ চুক্তির সময়েই বাংলাদেশের সর্বমোট হজযাত্রীর সংখ্যা সউদী সরকারকে অবহিত করা হয়।

চলতি বছর বাংলাদেশের হজের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সে অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ হজযাত্রীও নিবন্ধন করেননি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবার কথা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এখন পর্যন্ত কোটার চেয়ে অনেক কম হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। আমরা মনেপ্রাণে নিবন্ধনের সময় বাড়াতে চাই। সউদী সরকারের কাছে এ বিষয়ে আবেদন করা আছে। তারা অনুমতি না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। হজ এজেন্সিগুলোর একটা বড় অংকের অর্থ (৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি) এতদিন সউদী আরবে আটকে ছিল। বর্তমান সরকারের তৎপরতায় সেই অর্থ ফেরত আনা হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি জানাবেন বলে উপদেষ্টার দফতর থেকে জানা গেছে। তবে এর মধ্যে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে সেটিও উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে জানাতে পারেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ