সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওমরায় গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে এক টাকাও লুটপাট হবে না: শায়খে চরমোনাই কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার এবং মুসল্লিদের সহায়তায় চট্টগ্রামের প্রাচীনতম আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন এবং আইকনিক মসজিদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা  ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

রোববার (১২ অক্টোবর) আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ওই টাকার ওপর নির্ভর করে চট্টগ্রামের সব গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের থেকে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে এই আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। চট্টগ্রামের মানুষের মন অনেক বড়, আশা করি সবার সহযোগিতায় আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদকে আইকনিক মসজিদে রূপান্তর করতে কষ্ট হবে না। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মসজিদ নির্মাণে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন তা সাধ্যমত করা হবে।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এই মসজিদে আমি ছোটকাল থেকে নামাজ পড়ি। তাই এই মসজিদের প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে। আমরা যদি আমাদের ওআইসিভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশকে এই প্রজেক্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি আমরা আশা করি তাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাব। সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।
মসজিদের ডিজাইন দৃষ্টিন্দন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, নির্মিত মসজিদে একসাথে ১৪ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে, বিপণিকেন্দ্র থাকবে, মিলনায়তন থাকবে, খাদেম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আবাসন সুবিধাসহ নানা সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এখানে দুটি সমস্যা আছে। মসজিদের জায়গা বেদখল এবং এটিকে সরকার বিশ্ব ঐতিহ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে আমরা এটিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। তাই এ মসজিদের কাঠামো বিদ্যমান রেখে আমাদের নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। এই মসজিদ যদি নামাজ পড়ার অনুপযুক্তও হয়ে যায় বাঁশ দিয়ে হলেও এটিকে রক্ষা করতে হবে। কোনমতেইএটি ভেঙে ফেলা যাবে না। এটাকে অক্ষুণ্ন রেখে যাতে মুসল্লিরা ইমাম সাহেবকে দেখে নামাজ আদায় করতে পারে সেভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। এতে করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজও রক্ষা পাবে মসজিদের সৌন্দর্যও বাড়বে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল্লাহ নুরী, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরি আল মাদানি, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক ও মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ