মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২২ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
৫ দফা দাবিতে ঢাকায় গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন আল-আজহারের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেমের ইন্তেকাল ঢাকা-৭ আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর গণসংযোগ ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে সংবর্ধনা দিলো শৈশবের মাদরাসা ‘জুনায়েদ বাবুনগরীকে কোটি টাকায়ও কিনতে পারেনি শেখ হাসিনা’ আল্লাহ তাআলা কোরআন অবমাননাকারীর জন্য যে কঠিন শাস্তি রেখেছেন। অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে শাহপরানে ছাত্র জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নির্বাচনী কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসি নির্বাচন অবাধ ও গ্রহনযোগ্য করতে জাতিসংঘের সহায়তা চায় জামায়াত ফেরেশতারা নারী না পুরুষ? ইসলামি দৃষ্টিকোণ

নির্বাচনী কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আগামী জাতিয় নির্বাচনে নির্বাচনী কার্যক্রমে নিযুক্ত কর্মকর্তারা কোনো দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন।

সিইসি বলেন, ‘এখনকার পরিস্থিতি আর আগের পরিস্থিতি ভিন্ন। আগের পরিস্থিতি ছিল যে আমার পক্ষে কাজ না করলে আপনার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। আর এখন হলো যে কারো পক্ষে কাজ করলে অ্যাকশন হবে। কারণ, এখন মেসেজ ইজ টু ভেরি ক্লিয়ার। এই মেসেজ আমরা একাধিকবার দিয়েছি, আরও দিতে থাকব।’

আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আগে এমন একটা সংস্কৃতি ছিল যে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ থাকত-একটা নির্দিষ্ট পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন সেই পরিবেশ আর থাকবে না। আগে মেসেজ ছিল, আমার পক্ষে কাজ না করলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু এখন মেসেজ হবে- তুমি যদি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ কর, তাহলে তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেসেজটা একদম স্পষ্ট। আমরা এ কথা

একাধিকবার বলেছি এবং বারবার বলবো।’

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কাজ করবে না, এটা নিশ্চিত করা হবে।’

‘আগে অনেক সময় কর্মকর্তাদের রাতে গিয়ে প্রভাবিত করা হতো, ভয় দেখানো হতো, কিংবা নানা উপায়ে প্ররোচিত করে ভোট আদায় করা হতো। কিন্তু এখন সেই ভয় আর থাকবে না। আমরা যত রকম প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব, সব নেব, যাতে কেউ দলীয় আচরণ করতে না পারে’- বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হোক। দেশের মানুষ দেখুক, এবার নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো, আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেয়া।’

সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ১০ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, যারা সবাই সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ