বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৫ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

সৌদি বিনিয়োগ বাংলাদেশের মূলধন বাজারে ভূমিকা রাখতে পারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাজধানীর হোটেল শেরাটনে সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএবিসিসিআই) আয়োজিত বিজনেস সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সৌদি আরবের বিশাল বিনিয়োগ তহবিল বাংলাদেশের মূলধন বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নয়, দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ককেও আরও দৃঢ় করবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে সৌদি আরব-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসএবিসিসিআই) আয়োজিত বিজনেস সামিট-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন ‘ফ্রন্টিয়ার ইকোনমি’ থেকে ‘ইমার্জিং ইকোনমি’তে উত্তরণের পথে। ভবিষ্যতে যখন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে আরও সক্রিয়ভাবে প্রবেশ করবো, তখন সৌদি বিনিয়োগ বাংলাদেশের মূলধন বাজারে বড় ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মূলধন বাজারে এখনও নতুন বিনিয়োগের সুযোগ আছে। সৌদি বিনিয়োগ শুধু মূলধন বাজারেই নয়, জ্বালানি খাত, বস্ত্র খাত এবং আরও অনেক খাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দুই দেশের বেসরকারি খাত একত্রে কাজ করলে এর সুফল দ্বিগুণ হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্কের সূচনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকেই। এই সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।

আমীর খসরু বলেন, এই প্রক্রিয়াটি আজ একটি বিশাল রূপ নিয়েছে। বর্তমানে সৌদি আরবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের জন্য আতিথেয়তা প্রদর্শনের জন্য সৌদি আরবকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তবে তিনি শ্রমিক দক্ষতার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমাদের অনেক শ্রমিক এখনও অদক্ষ বা কম দক্ষ। তাই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন, কীভাবে তাদের দক্ষ করে তোলা যায়, পুনঃদক্ষতা বা দক্ষতা উন্নয়ন করা যায়।

তিনি বলেন, আমি প্রস্তাব করছি, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স যেন সৌদি আরবে গমনরত শ্রমিকদের জন্য যৌথ দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এটি প্রাতিষ্ঠানিক হলে রেমিট্যান্স আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ