ঢাকা, ৫ অক্টোবর: রাজধানীর ধানমণ্ডিতে মাসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটি আয়োজিত ‘সীরাত আয়োজন ২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে চিরস্থায়ীভাবে প্রোথিত থাকবে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “কেবল শ্রবণের মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করি, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কিন্তু যখন আমরা একই সঙ্গে দেখি ও শুনি, তখন সেই জ্ঞান দীর্ঘসময় মনে গেঁথে থাকে। ধানমণ্ডির মাসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটি প্রতীকী আয়োজনের মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর বসতঘর, ব্যবহার্য জিনিসপত্র, প্রিয় খাদ্যদ্রব্য ও স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহ উপস্থাপন করেছে— যা মানুষের সীরাত সম্পর্কে জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং জানার আগ্রহ বৃদ্ধি করবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি ও বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন মসজিদের খতিব সাইফুল ইসলাম, ডা. এম. এ. আজিজ, হাসান শহীদ সিদ্দিকী, তাজুল ইসলাম ঢালী, জি. এম. ফারুক, রিয়াজ আহমেদ সফিউল্লাহ, প্রফেসর মোজাম্মেল হক, মামুন উর রশিদ পারভেজসহ অসংখ্য মুসল্লি।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, “রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের প্রতিমূর্তি। তাঁর চরিত্রে মানবতার সব অনুপম গুণাবলি একত্র হয়েছিল। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর সীরাত অনুসরণই জীবনের প্রকৃত সাফল্যের পথ।” তিনি সবাইকে মহানবী (সা.)-এর জীবনাচার অনুসরণের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সীরাত সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে তাকওয়া মসজিদ কমিটি তিন দিনব্যাপী এ আয়োজন করেছে। এটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরও বৃহৎ পরিসরে সীরাতুন নবী (সা.)-এর আয়োজন করা হবে।”
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা মসজিদের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় স্থাপিত সীরাত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতীকীভাবে মহানবী (সা.) ও হযরত ফাতেমা (রা.)-এর বসতঘর, হযরত (সা.)-এর তৈজসপত্র, পানির মসক, খেজুর পাতার ছাউনি, খাট, প্রিয় খাবার প্রভৃতি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া ছিল সীরাত বই প্রদর্শনী, সীরাত আলোচনা, নাশিদ সন্ধ্যা, শিশুতোষ আলোচনা, নারীদের জন্য বিশেষ হালাকা, ‘নবীজির সুবাস’, ‘রং তুলিতে নবীজির শহর’, ‘ফুড অব প্রফেট (সা.)’, ‘বায়োগ্রাফি অব প্রফেট (সা.)’ শিরোনামে প্রতিযোগিতা এবং থ্রিডি অ্যানিমেশন প্রদর্শনী।
এনএইচ/