খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আগামী ১৫ নভেম্বর, শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত মহাসমাবেশ” সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মেরাজনগর মাদরাসা মিলনায়তনে সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমদের সভাপতিত্বে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব মধুপুর বলেন,কাদিয়ানিরা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস,খতমে নবুওয়াত অস্বীকার করার কারণে মুসলমান নয় বরং তারা অমুসলিম। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে শেষ নবী হিসেবে স্বীকার না করার কারণে তারা ইসলামের বাইরে চলে গেছে।
তিনি আরো বলেন,কাদিয়ানিদের ধর্মীয় বিশ্বাস কেবল বিভ্রান্তিকর নয়, বরং মুসলমানদের ঈমানী পরিচয়ে চরম হস্তক্ষেপ। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও বিভিন্ন মুসলিম দেশে তাদেরকে আইনগতভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মুফতি মোহাম্মদ আলী আফতাব নগর, মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা আব্দুল কাদের আমলাপাড়া, মুফতি ইমাদ উদ্দিন ফরিদাবাদ, মুফতি সালাউদ্দিন দিলু রোড, মাওলানা সাঈদ নূর, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ পীর সাহেব জায়গীর, মাওলানা শামসুল আরিফিন খান সাদী, মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি শফিক সাদী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা মাসুদুর রহমান আইয়ুবী, মাওলানা হোসাইন আহমদ ইসহাকী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লা নোমানী, মাওলানা আবু ইউসুফ, মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসউদ খান, মাওলানা এহতেশামুল হক সাখী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশেও তাদের সংখ্যা ও প্রচার-প্রচারণা দিন দিন বাড়ছে। তারা মসজিদ, আজান, ইসলামি পরিভাষা ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
এমএইচ/