আমীরে মজলিস
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখায় গতকাল (২৪ আগস্ট) ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ২২ জন ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাকে “ইসলামবিদ্বেষী ও ন্যক্কারজনক” আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর। তিনি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে বহিষ্কার এবং আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গতকালের এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার হিজাব পরা ছাত্রীদের উদ্দেশে “জঙ্গির মতো লাগে” বলে কটূক্তি করে ক্লাস থেকে বের করে দেন। ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
আমীরে মজলিস বলেন, ২৪ বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও প্রকাশ্য ইসলামবিদ্বেষ কোনোভাবেই সহ্যযোগ্য নয়। হিজাব মুসলিম নারীর ঈমানি পরিচয় ও আল্লাহ প্রদত্ত ফরজ বিধান। একজন শিক্ষক হয়ে এই বিধানের বিরুদ্ধে কটূক্তি করা সরাসরি ইসলামের প্রতি শত্রুতা প্রদর্শনের শামিল। সরকারকে অবিলম্বে উক্ত শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু এই একটি ঘটনা নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ও তৎপরতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গবেষক ড. সরোয়ার হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসকে সমকামী জঙ্গীরা হত্যার হুমকি দিয়েছে এবং প্রকাশ্যে তাদের পক্ষ নিয়ে কিছু লোক অবস্থানও নিয়েছে। এগুলো একই চক্রের অংশ, যারা পরিকল্পিতভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উস্কে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এরা মনে করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী চক্র এবং তসলিমা নাসরিনের দোসররা আবারও দেশে ফিরে আসতে পারবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারকে অবশ্যই ইসলামবিদ্বেষী এই চক্রকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। নতুবা এরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ধ্বংস করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আরএইচ/