বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫ ।। ৫ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৬ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কি ইসলামপন্থীদের আস্থা হারাচ্ছে?  নোয়াখালীতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা গণতন্ত্রকামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন হবে: তারেক রহমান ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৬৫৮ জন, হল সংসদে ১ হাজার ৪২৭ মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড হতে পারে  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল সৌদি আরবে নতুন হজ কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে না থাকার নির্দেশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১০০০ বৃক্ষরোপণ

দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ জামায়াতের নিবন্ধন ফেরত দিচ্ছে ইসি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইসির সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত দেওয়া হবে। অর্থাৎ তারা দলীয় নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক দুটিই ফেরত পাবেন। তিনি জানান, অতিসত্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফেরত পাবে, সে ব্যবস্থা ইসি গ্রহণ করছে। তবে দলীয় প্রতীকের ক্ষেত্রে একটি দাপ্তরিক প্রক্রিয়া আছে, এ জন্য একটু সময় লাগবে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, জামায়াতে ইসলামী তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা, সেটিও ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসির কাছে আবেদন করেছিল। ইসি বিশদভাবে আলোচনা করেছে। যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে ‘স্ট্যাটাসকো এনটে’ বলতে কী বোঝায়, অর্থাৎ ২০১৩ সালে জামায়াতের দলীয় নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীক ছিল, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন প্রজ্ঞাপনে নিবন্ধনের সঙ্গে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা দেওয়া হয়েছিল একই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এ ছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট ধারাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ২০১৬ সালে আদালতের একটি ফুল কোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাতিল করা হয়। এটি ছিল প্রশাসনিক পত্র, রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তৎকালীন ইসি এটি পেয়েছিল। সেটির আলোকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ইসির কাছে যে আবেদন দিয়েছে, তার সঙ্গে একটি রিট পিটিশন এবং তার আদেশও ইসির সামনে এসেছে। দাঁড়িপাল্লা যাতে কোনো প্রতীক হতে না পারে, যেহেতু এটা ন্যায়বিচারের প্রতীক, এই মর্মে একটি আপিল করা হয়েছিল। সেই আপিল সে সময় আদালত খারিজ করে দেন এবং বলেন, এটি নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করার কারণে কোনোভাবেই আদালতের মান ক্ষুণ্ন করবে না। ইসির জানামতে এই রায় এখনো বহাল রয়েছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ