শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ ।। ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৩ জিলহজ ১৪৪৬


নতুন নোটে মসজিদ বাদ দিয়ে মন্দিরের ছবি, সমালোচনার ঝড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অবশেষে গুঞ্জনই সঠিক হলো। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে যে নতুন তিনটি নোট ছেড়েছে এর মধ্যে ২০ টাকার নোটে মন্দিরের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে আগে মসজিদের ছবি ছিল। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে নানা মহলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের এই কাজ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেছেন। 

বেশ কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু নতুন নোটের ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। সেখানে ২০ টাকার নোটে বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের পরিবর্তে দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দিরের ছবি ব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। তবে মাঝখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র অনলাইনে ভেসে বেড়ানো নোটকে গুজব বলে দাবি করেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যে তিনটি নোটের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে রয়েছে ২০ টাকার নোট। আর গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে সেখানে। মসজিদের ছবি বাদ দিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে মন্দিরের ছবি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোটের নকশার ছবি প্রকাশ করে। এর মধ্যে বিতর্ক থাকার পরও ২০ টাকার নোটে কান্তজিউ মন্দির ও মহাস্থানগড়ের ছবি দিয়ে নোটের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। তবে কোনো নোটে রাখা হয়নি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে- বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ শীর্ষক ডিজাইনে তৈরি এই নতুন নোটগুলো ১ জুন থেকে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

প্রকাশিত নকশায় দেখা যায়, নতুন ২০ টাকার নোটের এক পাশে স্থান পেয়েছে মধ্যযুগের স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির। অপরপাশে রয়েছে বাংলার আরেক ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থানগড়ের ছবি। অবশ্য ২০ টাকার আগের নোটে ছিল বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান করে। এই দেশে সব ধর্মের মানুষেরই ঐতিহাসিক স্থাপনা ও ঐতিহ্য রয়েছে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ ২০ টাকার নোটে ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির স্থান পেয়েছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা সমালোচনা করছেন তারা বলছেন, ২০ টাকার নোটে আগে যেখানে মসজিদের ছবি ছিল সেখানে তা বাদ দিয়ে মন্দিরের ছবি ব্যবহার করা আপত্তিজনক। নতুন কোনো নোটে মন্দিরের ছবি ব্যবহার করলে হয়ত কোনো আপত্তি থাকত না। কিন্তু সরকার মন্দিরকে কেন মসজিদের বিপরীতে দাঁড় করালো। এটাকে অনেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের উস্কানি হিসেবে দেখছেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ