সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৫


পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রমজানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রমজান মাসে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য লাগাম ছাড়িয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছে মাস শেষের মূল্যস্ফীতিতে। মার্চ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৭।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত মাসিক ভোক্তা মূল্যসূচকে এ তথ্য জানা গেছে। মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮১ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের মার্চে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, এ বছরের মার্চে তা ১০৯ টাকা ৮১ পয়সায় কিনতে হয়েছে।

বিবিএসের তথ্য বলছে, মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। মার্চে এসব পণ্যের  মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৩।
চলতি অর্থবছর সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার। তবে সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে রাখার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। কিন্তু তাতেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। 

বিবিএসের মার্চের তথ্য বলছে, গ্রামের তুলনায় শহরের মূল্যস্ফীতি বেশি। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৮, যেখানে শহরের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শহরে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮, গ্রামে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে তিন কারণে বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।

বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, বাংলাদেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। চলতি অর্থবছরও এ উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে। এ মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে তিনটি মূল কারণ থাকতে পারে বলে মনে করে তারা। এ তিনটি কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বিদেশি মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানি সংকোচন ও জ্বালানি সংকট বহাল থাকবে, যার কারণে বিদ্যুতের দাম আরো বাড়তে পারে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির রাশ আরো টেনে ধরা দরকার বলেও সংস্থাটি অভিমত দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের প্রধান আবদুল্লায়ে সেক বলেন, ‘সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির এই ভঙ্গি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ