শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জমিয়ত আজ যা বলে কালও তাই বলে: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপিও আ.লীগের মতো হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছে: নুর বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির’ রাজনীতি বন্ধ করতে বলল হেফাজত পাথর মেরে হত্যার নিন্দা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান জমিয়তের ইয়ামিনকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ‘চাঁদাবাজিতে আতঙ্কগ্রস্ত জাতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন’ মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’

হাসপাতালে কেমন আছেন খালেদা জিয়া?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মূলত লিভার সিরোসিস থেকেই খালেদা জিয়ার শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। পেটে পানি চলে আসছে। প্রতিনিয়ত তা অপসারণ করতে হচ্ছে। লিভার সিরোসিসের কারণে শরীরে প্রোটিন কমে যাচ্ছে। তবে হাসপাতালের কেবিনে রেখেই বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।

গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজন ছিল ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা। যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

এখানে ঠিকমতো চিকিৎসা না হওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার পায়ের বাতের ব্যথা বাড়ছে। হার্টের সমস্যা রয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কতদিন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে থাকতে হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মেডিকেল বোর্ডের ওই সদস্য জানান, এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটি নির্ভর করছে তার সুস্থতার ওপর।

এ বিষয়ে বিএনপির সহ স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার সেভাবে উন্নতি হচ্ছে না। লিভার সিরোসিসের সমস্যার কারণে শরীরে অন্য প্যারামিটারের জটিলতাগুলো বাড়ছে। হার্ট-কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। মেডিকেল বোর্ড আগেই পরামর্শ দিয়েছিল- ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য। তখন সরকার অনুমতি দিলে আজকে এই সমস্যাটা হতো না। এখন মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ীই তার চিকিৎসা চলছে। তারা জানিয়েছে, সহসাই ম্যাডামকে বাসায় নেওয়া সম্ভব হবে না। হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। 

এদিকে রোববার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার শয্যার পাশে দীর্ঘ ৪০ মিনিট অবস্থান করেন তিনি। এ সময় ৭৮ বছর বয়সী সাবেক তিন বারের এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

টিএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ