কাদিয়ানিরা ইসলামের মৌলিক আকিদা ‘খতমে নবুওয়াত’ অস্বীকার করে। তারা নিজেদের মুসলমান দাবি করলেও, বাস্তবে তারা ইসলামের পরিপন্থী মতবাদ প্রচার করে ইসলামকে আঘাত করছে। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ বহু আগেই কাদিয়ানিদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আলজেরিয়া সহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্রে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর বারিধারা মাদরাসায় আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ওলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর এসব কথা বলেন।
বারিধারা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মুফতি জাবের কাসেমীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, খতিবে বাঙাল মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি মুহাম্মদ আলী আফতাবনগর, মাওলানা রশিদ আহমাদ, মুফতি সালাহ উদ্দিন দিলু রোড,মুফতি বশীর আহমদ, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ নোমানী, মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,বাংলাদেশে কাদিয়ানিরা ধর্মীয় আবরণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, মসজিদ, কুরআন, আজান ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করছে। তাই, এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা ঈমানী, আইনগত ও জাতীয় দায়িত্ব।
ওলামা সম্মেলন থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়,সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি মুসলিম সমাজের ঈমান রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিন। ৯২% মুসলমানের দেশে ঈমানবিরোধী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বরদাশতযোগ্য নয়।
এলএইস/