শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কচুয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও যুব মজলিসের নতুন কমিটি ঘোষণা কেবল নেতা পরিবর্তন করতে জুলাইয়ে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয় নাই : শায়েখে চরমোনাই জুলাই চেতনার সাথে গাদ্দারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না : নেজামে ইসলাম পার্টি  চাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ঘোষণা হক্কানী আলেমদের পরামর্শে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জাতির জন্য কল্যাণকর: জমিয়ত আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল শনিবার ঢাকায় কচুয়ার উলামায়ে কেরামের মতবিনিময় সভা কুমিল্লার নূর মসজিদ মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক নিয়োগ পিআর পদ্ধতি জনতা না চাইলে আমরাও আর দাবী করবো না: শায়েখে চরমোনাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: মহাসচিব 

পটিয়ার শাইখুল হাদিস আল্লামা হাফেজ আহমদুল্লাহর জানাজা রাত ৯টায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, শ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদ ও আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার শায়খুল হাদিস, প্রধান মুফতি ও মুহতামিম আল্লামা হাফেজ আহমদুল্লাহর (রহ.) নামাজে জানাজা রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় পটিয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া জমিরিয়া মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হবে। 

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

আল্লামা আহমদুল্লাহ ছিলেন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের সহসভাপতি, ইসলামিক ফিকহ বোর্ড বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সালসাবিলের প্রধান উপদেষ্টা।

১৯৪১ সালের ১২ মে চট্টগ্রামের পটিয়ার নাইখাইন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আল্লামা আহমদুল্লাহ ছিলেন আল-জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুজাহিদে মিল্লাত মাওলানা শাহ আহমদ হাসান (রহ.)-এর নাতি এবং মরহুম মুহাম্মদ ইসার সন্তান।

শৈশবে কুরআন শিক্ষা শুরু করে অল্প বয়সেই হিফজ শেষ করেন। পরে জিরি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য যান পাকিস্তানে।

সেখানে জামিয়া আশরাফিয়া লাহোর, খাইরুল মাদারেস মুলতান ও দারুল উলুম করাচিতে অধ্যয়ন করেন। এ সময়ে তিনি মাওলানা ইদ্রিস কান্ধলভি, মাওলানা জামিল আহমদ থানভী ও মুফতি শফী উসমানী (রহ.)-এর মতো খ্যাতিমান আলেমদের ছাত্র হওয়ার সুযোগ পান। তার সহপাঠীদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানী। দেশে ফিরে ১৯৬৮ সালে জিরি মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন আল্লামা আহমদুল্লাহ।

দীর্ঘ ২৩ বছর অধ্যাপনার পর আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় যোগ দেন এবং পরবর্তীতে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুফতি ও শায়খুল হাদীস হন। শুধু শিক্ষাদানেই নয়, ইসলামী সাহিত্যেও ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—যুগোপযোগী দশ মাসায়েল, মাযহাব ও মাযহাবের প্রয়োজনীয়তা, তাসকীনুল খাওয়াতীর, মহিমান্বিত রমজান, মাসায়েলে রমজান ও নাফহাতুল আহমদিয়া ফি খুতুবাতিল মিম্বারিয়া। এ ছাড়া তিনি তার নানা শাহ আহমদ হাসান (রহ.)-এর অসমাপ্ত গ্রন্থ মাশায়েখে চাটগামী সমাপ্ত করে দুই খণ্ডে প্রকাশ করেন।

তার মৃত্যুতে দেশ-বিদেশের আলেম সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠন ও মাদরাসার পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে।

আজ রবিবার রাত ৯টায় পটিয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া জমিরিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মাদরাসার মাকামে আজিজিয়া কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের নদভী।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ