কেএম সুহেল আহমদ (কাতার)
কাতারের রাজধানীর দোহায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়েছে। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে কাতার প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, রেমিট্যান্স যোদ্ধা, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন দূতাবাসের অনুবাদক আতাউর রমহান। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত সকল শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী সকলের স্বাভাবিক ও সুস্থজীবন, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন দূতাবাসের অনুবাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম।
দূতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. ওয়ালিউর রহমান । বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে– মিশন উপ-প্রধান মো. ওয়ালিউর রহমান ও কাউন্সিলর মোবাশ্বেরা কাদেরী। ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাতারস্থ হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এরপর ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কমিউনিটির রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন– মোঃ আবু ছায়েদ, আলমগীর হোসেন আলী, মহিউদ্দিন কাজল, সালেহ আহমদ খোকন, এম.এম. নূর, কাজী শামীম ও পারউইন সিলিয়া।
দূতাবাসরে কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল রাজীর সঞ্চলনায় দিবসটি উপলক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ এমএইচএম স্কুল ও কলেজের শির্ক্ষাথীবৃন্দ, অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ.কে.এম. আমিনুল হক, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মহিউদ্দিন কাজল ও দূতাবাসের কাউন্সলির মোহাম্মদ মাশহুদ-উল কবির।
এমএইচ/