সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার খুনিদের ভয়ে কোনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতে পারি না

শিক্ষক মাহরিনের বীরত্বে অভিভূত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, গভীর শোক প্রকাশ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। একই সঙ্গে তিনি এই ভয়াবহ ঘটনায় নিজের জীবন বিপন্ন করে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় এগিয়ে আসা শিক্ষক মাহরিন চৌধুরীর বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

বুধবার (২৩ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে আনোয়ার ইব্রাহিম লেখেন,
“ঢাকায় একটি স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এ ঘটনায় বহু প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের অধিকাংশই শিশু। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এ সময় মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ভাই-বোনদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে।”

তিনি আরও লেখেন,
“এই মর্মান্তিক ঘটনায় মাহরিন চৌধুরী নামে এক শিক্ষিকাকে নিয়ে আমি জানতে পারি, যিনি সাহসিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরও তিনি দ্বিতীয়বার আগুন ও ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে ফিরে যান আরও শিশুদের বাঁচাতে। তার এই সাহস, মানবতা ও আত্মত্যাগ কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।”

আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, তিনি বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখে তার শোকবার্তা এবং মালয়েশিয়ার জনগণের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ১৬৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। নিহতদের অধিকাংশই শিশু শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন শিক্ষার্থী, নাফি, মারা যায়।

এই ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষক মাহরিনের মতো সাহসী ও আত্মত্যাগী মানুষদের ভূমিকায় কিছুটা হলেও আলো দেখছে দেশবাসী।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ