শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ।। ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ২ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিশ্বনবীর অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে: ইত্তেফাক নেতৃবৃন্দ আন্তবর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কত দিন চাচ্ছে ইসলামি দলগুলো? লেবাননে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ মুসলিমদের শত্রু এক: আয়াতুল্লাহ খামেনি বিশ্বনবী সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদে ভৈরবায় ইমাম কল্যাণ পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল রামগিরি মহারাজের ফাঁসির দাবিতে নাটোরের সিংড়ায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা বাংলাদেশি শ্রমিকদেরকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ‘সুসংবাদ’ বিশ্বনবী সা. কে কটূক্তির প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল আসন্ন হিন্দু উৎসবে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় আ.লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যা চালু করেছে: শিবির সভাপতি

ঈদে মিলাদুন্নবী কি আসলেই ‘ঈদ’?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আল মারুফ:

মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তা'আলা দুটো ঈদ দিয়েছেন। একটি ঈদুল ফিতর অপরটি ঈদুল আযহা। তৃতীয় কোন ঈদের কথা কোরআন-সুন্নায় পাওয়া যায় না।

হাদিস শরীফে এসেছে, আনাস (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করলে দেখলেন, সেখানকার অধিবাসীরা দুইটি দিন খেলাধূলা ও আনন্দ-উৎসব করে থাকে। তিনি (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেন, এই দুইটি দিন কিসের? তারা বলেন, জাহিলী যুগে আমরা এই দুই দিন খেলাধূলা ও উৎসব করতাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে এই দুই দিনের পরিবর্তে অন্য দুইটি উত্তম দিন দান করেছেন এবং তা হল: কুরবানীর ঈদ এবং রোযার ঈদ”। (আবূ দাঊদ, ১১৩৬)

সুতরাং ১২ই রবিউল আউয়ালকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা ইসলামী শরীয়ার মধ্যে নতুন সংযোজন, যা একটি গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মীয় ব্যাপারে এমন বিষয় উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই, তা পরিত্যাজ্য।(মুসলিম-৪৩৪৩)

রবিউল আওয়াল মাসে যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগ্রহণ করেছেন তেমনি এ মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ মাস সুখ দুঃখের, নয় শুধু সুখের। এ বিষয়টিও ঈদে মিলাদুন্নবী নামকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটা ভালবাসার পরিচয় নয়। ভালোবাসা হলো হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক। অন্তরের সাথে অন্তরের সম্পর্ক। দেখা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তবে অনুভব করা যায়। এটা কোন বছর, মাস ও দিনের সাথে সম্পৃক্ত নয়।ভালবাসা মানে যাকে ভালবাসা হয় তার প্রতি হৃদয়ের গভীরে লালন করা এক অসীম আকর্ষণ, যে আকর্ষণের তীব্রতায় ভালোবাসার মানুষটির সান্নিধ্য পেতে ব্যাকুল হয়। ভালোবাসা মানে তার অনুসরণ-অনুকরণ করা। তার আদর্শ নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। এটাই মূল ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা এভাবেই প্রকাশ করেছিলেন। তারা জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকীর পেছনে পড়েনি। তাই আসুন আমরাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা প্রকাশ করি তাকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ ও আজীবন তার আদর্শ নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ