শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৭ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই : প্রেস সচিব আগামীকাল ১১টায় হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকারে ট্রাকের ধাক্কা, মা-শিশুকন্যার মৃত্যু গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশ, আরও বাড়তে পারে শীত ঢাকা-৮ আসনে লড়তে চান শহীদ ওসমান হাদির বোন মাসুমা উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের দেশ ও জাতির স্বার্থে সবধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন বার্তা দিলো ভারত তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে: মির্জা ফখরুল

দ্বিতীয় বিয়ে করলেই সাত বছরের দণ্ড, আসামে মন্ত্রিসভায় বিল পাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বহুবিবাহ প্রতিরোধ করার বিল অনুমোদন দিয়েছে ভারতের আসাম রাজ্যের মন্ত্রিসভা। এই বিলে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় তৃতীয় বিয়ে করলেই সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া স্বামীর বহুবিবাহের কারণে যেসব নারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

রবিবার রাজ্যটির মন্ত্রিসভা বিলটির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৫ তারিখ এই বিল উত্থাপন করা হবে বিধানসভায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করা এই বিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের জন্য একটি মাইলস্টোন হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আসামের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিলটি পাস হলে বহুবিবাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই বিল পাস হওয়ার পর আসামে কেউ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার বিয়ে করলে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হবে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। এ আইনে গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গে জামিন পাওয়ার সুযোগও থাকবে না। 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিলটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বহুবিবাহের শিকার নারীদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে স্বামী কারাবন্দি হলে ভুক্তভোগী প্রথম স্ত্রীর কী হবে? অনেক সময় দেখা যায়, দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লক্ষ্য কোনও নারী যাতে আর্থিক বা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তাই ক্ষতিপূরণের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করা হবে।

তবে প্রস্তাবিত নতুন এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে উপজাতি জনগোষ্ঠী। আসাম সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজাতিদের নিজস্ব সামাজিক প্রথা ও আইন অনুসারে ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত এলাকা, বিটিসি, কার্বিআংলং ও ডিমা হাসাও জেলায় এ আইন কার্যকর হবে না।

উল্লেখ্য, আগামী বছর আসামে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিল আইনে পরিণত হলে হিমন্ত বাড়তি সুবিধা পাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। 

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমস

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ