পাকিস্তানে সংবিধান সংশোধনে সিনেটে বিল উত্থাপণ করা হয়েছে। শনিবার দেশটির আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী বিলটি উত্থাপণ করেন। তবে এর বিরোধীতা করে আন্দোলনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা। খবর দ্য ডনের।
বিলে একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত গঠন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন, প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার উচ্চতর সীমা এবং সামরিক নেতৃত্ব কাঠামোতে পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিলের কিছু ধারায় ফিল্ড মার্শাল, বিমান বাহিনীর মার্শাল বা নৌবহরের অ্যাডমিরাল-এর মতো পাঁচ তারকা পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আজীবন সাংবিধানিক সুরক্ষার প্রস্তাবও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিত কমান্ড ও পরিচালনা নিশ্চিত করতে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ নামে একটি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। সংশোধন অনুযায়ী, সেনাপ্রধান একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি জাতীয় কৌশলগত কমান্ডের প্রধান নিযুক্ত করবেন।
নতুন বিল অনুযায়ী, সেনাপ্রধানের সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের প্রধান নিয়োগ করবেন।
এছাড়াও সংবিধানের ২৪৮ অনুচ্ছেদে সংশোধন এনে রাষ্ট্রপতিকে আজীবন ফৌজদারি মামলা বা গ্রেপ্তার থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলটির বিরোধীতা করছে কয়েকটি বিরোধী দল। বিরোধী দলগুলোর জোট তেহরিকে তাহাফুজ আইন-পাকিস্তান (টিটিএপি) দেশবজুড়ে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। মজলিস ওয়াহদাতুল মুসলিমিন (এমডব্লিউএম)-এর প্রধান আল্লামা রাজা নাসির আব্বাস এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অচল করে দেয়া হয়েছে।
এলএইস/