জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) একজনকে গ্রেপ্তার করে বলেছে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।
একটি ছবি সরবরাহ করে তারা দাবি করেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ছবির এই ব্যক্তির নাম মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) তাকে ধরা হয়।টাস্ক ফোর্স বলেছে,, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরেননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজন মাসুদকে ইসলামি উগ্রপন্থি হিসেবে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তের ভারতীয় অংশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক- এমন একটি তথ্যও পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশিকে।
ইসলামপুর থানা জানিয়েছে, আটক করা ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্টও পাওয়া গেছে তার কাছে।
একই দিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরূপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো কয়েকজন বাংলাদেশি।
বিএসএফ জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। তারা সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং বাগেরহাটের বাসিন্দা।
এনএইচ/