মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২২ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
পীর সাহেব মধুপুরের সঙ্গে জমিয়ত নেতাদের মতবিনিময় মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্টেও করা যাবে হজের নিবন্ধন  ৫ দফা দাবিতে ঢাকায় গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন আল-আজহারের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেমের ইন্তেকাল ঢাকা-৭ আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর গণসংযোগ ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে সংবর্ধনা দিলো শৈশবের মাদরাসা ‘জুনায়েদ বাবুনগরীকে কোটি টাকায়ও কিনতে পারেনি শেখ হাসিনা’ আল্লাহ তাআলা কোরআন অবমাননাকারীর জন্য যে কঠিন শাস্তি রেখেছেন। অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে শাহপরানে ছাত্র জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নির্বাচনী কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসি

আল-আজহারের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেমের ইন্তেকাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উসূলুদ্দিন অনুষদের বরেণ্য অধ্যাপক, হাদিস বিভাগের প্রখ্যাত পণ্ডিত এবং আল-আজহার শরিফের সিনিয়র স্কলারস কাউন্সিলের সদস্য, প্রাক্তন উকিলুল আজহার ড. আহমদ ওমর হাশেম রহ. মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।)
 
তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, আমরা আরব ও মুসলিম বিশ্ব, তার প্রিয়জন ও শিক্ষার্থীদের গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় ইমাম ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ড. আহমদ ওমর হাশিম ইন্তেকাল করেছেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাকে তার ঘরের চেয়ে উত্তম ঘর দান করেন, উত্তম পরিবার দান করেন এবং জান্নাতকে তার আবাস বানান এবং আমাদের সবাইকে ধৈর্য ও সওয়াব লাভের তৌফিক দেন।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পর আল-আজহার মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 
ড. আহমদ ওমর হাশেম ১৯৪১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মিশরের আল-শারকিয়া প্রদেশে। তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উসূল আদ-দীন’ (ধর্মতত্ত্ব) অনুষদ থেকে ১৯৬১ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৬৭ সালে হাদিস ও উলূমুল হাদিসে উচ্চতর ডিগ্রি (ইজাযা আ’লিয়া), ১৯৬৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে হাদিস ও উলূমুল হাদিসে তিনি ডক্টরেটও করেন।

তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন আরব এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। এছাড়া তিনি ছিলেন ইসলামি গবেষণা পরিষদ (মাজমাউল বুহুসিল ইসলামিয়্যাহ), ইসলাম বিষয়ক উচ্চতর পরিষদ (আল মজলিসুল আ’লা লিশ-শুউনিল ইসলামিয়্যাহ) এবং মিশরের দুটি সংসদীয় পরিষদ মজলিসুশ-শা’ব ও মজলিসুশ-শুরার সদস্য।

সুন্নাহ ও হাদিসশাস্ত্রে তার বৈচিত্র্যময় গবেষণা ও রচনার মাধ্যমে তিনি ইসলামি জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। তিনি মিশরে ও মিশরের বাইরে বহু ইসলামি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন জার্নালে তার গবেষণা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
২০১২ সালে (১৪৩৩ হিজরি) যখন মিশরের হাইআতু কিবারিল উলামা বা জ্যেষ্ঠ আলেম পরিষদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন প্রথম দফায়ই তিনি এর সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ