২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের ১,১৫২ জন সৈন্য নিহত হয়েছে । ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এমনটাই স্বীকার করেছে । এই সংখ্যা একটি গণহত্যাজনিত যুদ্ধের ব্যাপক ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছে, যা তেল আবিবের সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের ভাবমূর্তি চূর্ণ করেছে এবং ইসরায়েলি সমাজের একটি বিশাল অংশকে শোকের সাগরে ভাসিয়েছে
সোমবার (৬ অক্টোবর) ইসরায়েলের আর্মি রেডিও স্বীকার করেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধে মোট ১,১৫২ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে, যাদের প্রায় ৪২ শতাংশের বয়স ২১ বছরের নিচে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মাঠের ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ প্রকাশে কঠোর সামরিক সেন্সরশিপ থাকা সত্ত্বেও এই পরিসংখ্যান সামনে এলো।
প্রতিবেদন মতে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর শোকাহত পরিবারের তালিকায় বর্তমানে ৬,৫০০-এরও বেশি আত্মীয় যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১,৯৭৩ জন পিতা-মাতা, ৩৫১ জন বিধবা, ৮৮৫ জন এতিম এবং ৩,৪৮১ জন ভাই-বোন রয়েছে।
রেডিও আরও জানিয়েছে, গত এক বছরে ২৬২ জন সৈন্যকে হতাহতের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই ছিল ফ্রন্ট লাইনে কর্মরত অবিবাহিত তরুণ সৈন্য।
প্রায় দুই বছর আগে, গাজার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা ও অপারেশনাল ব্যর্থতার পর, ইসরায়েল এই দাবি করে একটি ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরু করেছিল যে, তারা তাদের বন্দীদের জীবিত ফিরিয়ে আনবে এবং প্রতিরোধ আন্দোলনকে নির্মূল করবে। সেই প্রতিশ্রুতিগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে— বেশ কয়েকজন বন্দী ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে, এবং মাসব্যাপী বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ অবিচল রয়েছে।
রবিবার অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি জেনারেল ইৎজহাক ব্রিক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেন এবং দীর্ঘায়িত যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামাসের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে অস্বীকার করায় ইসরায়েল সবচেয়ে বড় পরাজিত শক্তিতে পরিণত হয়েছে। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি
এনএইচ/