মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে অবিলম্বে বোমাবর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও গাজায় আজ ভোর থেকে ১৬ ফিলিস্তিনিক হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। সবশেষ তথ্য অনুসারে, দুর্ভিক্ষ কবলিত অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৬৫টি লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্তত ১৫৩ জন আহত হয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রথম ধাপ অনুসরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইসরায়েল ধারাবাহিক সামরিক আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
চিকিৎসা সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলু এজেন্সিকে জানায়, দখলদার বাহিনী অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর আবাসিক ভবন এবং তাঁবুগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প সরায়েলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'হামাসের বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা প্রস্তুত। ইসরায়েলকে অবশ্যই অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা দ্রুত ও নিরাপদে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে পারি। এটা শুধু গাজার বিষয় নয়, এটা মধ্যপ্রাচ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি বিষয়।'
গতকাল শনিবার ট্রাম্প আরেক পোস্টে বলেন, 'ইসরায়েল সাময়িকভাবে বোমাবর্ষণ বন্ধ করেছে। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত করার সুযোগ দিতে তারা এটা করেছে।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর ২৭ মে থেকে ইসরায়েল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোকে এড়িয়ে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে একটি পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করেছে। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ আরও প্রকট হয়ে ওঠে।
ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
এনএইচ/