ভারতের রাজধানী দিল্লি-তে ১৭ ছাত্রীকে অশ্লীল হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠানোর এবং যৌন হয়রানির অভিযোগে স্বঘোষিত বাবা ও সাবেক কলেজ চেয়ারম্যান চৈতন্যানন্দ সরস্বতীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে শনিবার রাতে আগ্রায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমিত গোয়েল নিশ্চিত করেছেন।
আগস্ট মাসে দিল্লির শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ-এর সাবেক চেয়ারম্যান চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট কোর্সে পড়া ছাত্রীদের অশ্লীল বার্তা পাঠানো এবং অবাঞ্ছিত শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করেছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর থেকে দেড় মাসের বেশি সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
৫ আগস্ট কলেজের মালিক শ্রী শৃঙ্গেরি শারদা পীঠম-এর প্রশাসক পি.এ. মুরালির অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণের মামলা শুরু হয়। অভিযোগে উল্লেখ আছে, ২১ বছর বয়সী এক ছাত্রীর বিবরণসহ আরও ৩২ জন ছাত্রীর হেনস্থার তথ্য অন্তর্ভুক্ত। কলেজের প্রশাসক ও অনুষদের কিছু কর্মকর্তা অভিযুক্তের দাবিতে ছাত্রীদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চৈতন্যানন্দ নকল “জাতিসংঘ” চিহ্নযুক্ত নয়টি কূটনৈতিক গাড়ি ব্যবহার করতেন। তার ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ২৮টি স্থায়ী আমানত থেকে ৮ কোটিরও বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, হার্ড ডিস্ক ফরেনসিক পরীক্ষা, এবং ১৬ ভুক্তভোগীর জবানবন্দি অন্তর্ভুক্ত। অভিযুক্ত ক্রমাগত তার চেহারা ও অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন, যা খুঁজে বের করার জন্য পাঁচটিরও বেশি দল কাজ করেছিল।
শেষ পর্যন্ত শনিবার গভীর রাতে তাকে আগ্রায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, নারীর শালীনতা অবমাননাকর কাজ এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অভিযোগে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে।
এনএইচ/