ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে অবিলম্বে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে নয় নিউজিল্যান্ড। তবে দেশটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স।
শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তব্যে তিনি বলেন, “গাজায় যুদ্ধ চলছে, হামাস এখনো গাজার নিয়ন্ত্রণে আছে, আর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। এই প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সঠিক সময় নয়।”
তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত ইসরায়েল ও হামাস উভয়কেই আরও কঠোর অবস্থানে ঠেলে দিতে পারে এবং যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে পারে।
এদিকে শনিবার অকল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন বলেন, “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না, সেই প্রশ্ন নেই—প্রশ্ন কেবল কবে দেওয়া হবে।”
নিউজিল্যান্ডের এই অবস্থান তার ঐতিহ্যগত অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভিন্নমত তৈরি করেছে। কারণ গত রোববার এই তিন দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিশ্বের আরও ১৪০টির বেশি দেশের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে, যারা দখলকৃত অঞ্চল থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন জানিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায় এমন সময়ে, যখন শান্তি ও আলোচনার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে।
অন্যদিকে বিরোধী লেবার পার্টি এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে। দলটির পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র পিনি হেনারে বলেন, “আজকের সিদ্ধান্ত নিউজিল্যান্ডকে ইতিহাসের ভুল পাশে দাঁড় করিয়েছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান কিংবা স্থায়ী শান্তি কখনোই সম্ভব নয়, যদি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া হয়।”
সূত্র: রয়টার্স
এমএইচ/