২০০৩ সালে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার মিথ্যা অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায়। সে সময়ের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও সরাসরি এতে অংশ নেন। হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির সেই যুদ্ধের পর তিনি বিশ্বে ‘ইরাকের কসাই’ হিসেবে কুখ্যাতি পান।
সেই টনি ব্লেয়ারকে এবার গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে একাধিক ব্রিটিশ গণমাধ্যম।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আট মুসলিম নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ২১ দফা প্রস্তাব দেন। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল—হামাসের পরিবর্তে টেকনোক্র্যাটদের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। যুক্তরাষ্ট্র, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ প্রশাসন এ সরকারকে সহায়তা করবে।
শোনা যাচ্ছে, ওই প্রশাসনের নেতৃত্বে বসতে পারেন টনি ব্লেয়ার। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। যদিও ব্লেয়ারের সংস্থা Blair Institute for Global Change এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমও জানায়, গাজা যুদ্ধ থামাতে ব্লেয়ার সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তারা দাবি করেছে, ব্লেয়ার গাজার মানুষকে উচ্ছেদ করার প্রস্তাবে রাজি নন।
প্রস্তাবিত প্রশাসন পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে এবং পরবর্তীতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এই কাঠামোয় ২৫ সদস্যেরও বেশি মন্ত্রিসভা এবং সাত সদস্যের একটি বোর্ড থাকবে। প্রাথমিকভাবে প্রশাসন মিসরের সীমান্তে কার্যক্রম শুরু করবে, পরে পরিস্থিতি অনুকূলে এলে গাজায় স্থানান্তরিত হবে।
এদিকে মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়ুস্সি কোহেন বিবিসিকে বলেছেন, গাজার দায়িত্ব নেওয়ার পরিকল্পনায় টনি ব্লেয়ারকে দেখতে পেয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
সূত্র: আরব নিউজ
এমএইচ/