আফগানিস্তানের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌরবর্ষ ১৪০৪-এর প্রথম ছয় মাসে দেশের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬.৭৮৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এ সময়ে আফগানিস্তানের রপ্তানি আয় হয়েছে ৭৪৮ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আখুন্দজাদা আব্দুল সালাম জাওয়াদ জানান, আফগানিস্তানের প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো—কিসমিস, ডুমুর, তুলা, খুবানি, জাফরান, পেস্তা, আঙুর, পানীয় এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য। এগুলো মূলত চীন, ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও ইরাকে রপ্তানি করা হয়।
কৃষি ও প্রাণিসম্পদ চেম্বার জানিয়েছে, দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে আফগান পণ্যের মান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করা জরুরি, যাতে কেবল প্রতিবেশী দেশেই নয়, বিশ্ববাজারেও রপ্তানি বাড়ানো যায়।
চেম্বারের সিইও ওয়াসিম সাফি বলেন, “আফগান কৃষিপণ্য জৈব বা আধা-জৈব। বিশ্ববাজার এখন জৈব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রাখে। তবে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মান উন্নয়ন, এ দিকেই কাজ করতে হবে।”
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আহমদ ফিরদৌস বেহগজাইন বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক যত দৃঢ় করা যাবে, জাতীয় অর্থনীতি তত শক্তিশালী হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং সরকার-বেসরকারি খাতের মধ্যে সক্রিয় বৈঠক অত্যন্ত প্রয়োজন।”
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই সময়ে আফগানিস্তানের আমদানি ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬.০৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ আমদানি খাতে ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১.০৪২ বিলিয়ন ডলার।
এনএইচ/