মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ইসরায়েলি হামলার জেরে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো। কাতারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবনা আনা হবে। এর আগে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ হামাস সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। উপসাগরীয়সহ বহু দেশ এর নিন্দা জানায়। কাতার একে ‘ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দোহায় অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের তারা। মুসলিম দেশগুলোর ওই বৈঠকে অংশ নেবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও। বৈঠকে শুধু কাতার নয়, ইসরায়েলের গাজা দখলের প্রচেষ্টা, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ চেষ্টাও আলোচনায় আসবে।
শীর্ষ বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উপস্থিত থাকতে পারেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার নিউইয়র্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানির সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন। এর আগে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে দোহায় হামলার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কাতারকে আশ্বস্ত করেন যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
হোয়াইট হাউজ নিশ্চিত করেছে, আল-থানি এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। আলোচনায় কাতারের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গুরুত্ব পেয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, ডন
এসএকে/