ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘সিদ্ধান্তমূলক পর্যায়ে’ পৌঁছানোর ঘোষণার পর গাজায় হামলা আরও জোরদার হয়েছে। দখলদার বাহিনীর আগ্রাসনে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সারাদিনে অন্তত ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরাইল গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রটির (গাজা সিটি) নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। যেখানে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। এ কারণে আরও বর্বর হয়ে উঠেছে জায়নিস্ট বাহিনী।
মঙ্গলবার একদিনেই গাজা জুড়ে অন্তত ১০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে আল-সাবরা এলাকায় ইসরাইলি হামলা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল ধ্বংস করে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩২ জন ত্রাণ সহায়তার খোঁজে গিয়ে প্রাণ হারান। যার মধ্যে সাতজন শিশু। তারা সবাই দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নিকটবর্তী আল-মাওয়াসি এলাকায় পানির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইসরাইলি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান।
আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা এখন গাজা সিটিতে যেন খাঁচার ভেতরে বন্দি। তারা যতটা সম্ভব বিমান হামলা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করছে। কিন্তু যেখানে যাচ্ছে, হামলা তাদের অনুসরণ করছে। খাদ্য ও সাহায্যের অবরোধে তারাও মারা যাচ্ছে, কারণ তারা ন্যূনতম বেঁচে থাকার উপকরণও পাচ্ছে না।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৩ জন অনাহারে মারা গেছেন। এতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধাজনিত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬১। এর মধ্যে ৮৩ জন মারা গেছেন ২২ আগস্ট গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক মাসে গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তার ট্রাক সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ১৫ শতাংশ।
তবু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগস্টে জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংস্থার (আইপিসি) দুর্ভিক্ষ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করে একে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে দাবি করেন।
আরএইচ/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                               
                               
                              