বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খারুয়া ইউনিয়নের দাওয়াতি মজলিস অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পন্থা: চরমোনাই পীর দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি  জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

গাজায় অভিযানের বিরোধিতা : বহিষ্কারের মুখে ইসরায়েলি এমপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা এবং এ ইস্যুতে জাতিসংঘের আদালতের রায় সমর্থন করায় ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেট থেকে বহিষ্কারাদেশের মুখে পড়েছেন সেখানকার আইনপ্রণেতা ওফের ক্যাসিফ।

নেসেটের পার্লামেন্টারি কমিটি বুধবার তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। অভিশসংসনের তারিখ অবশ্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

মোট ১২০টি আসন রয়েছে নেসেটে। ইসরায়েলের পার্লামেন্টারি আইন অনুযায়ী, অভিশংসনের দিনি এসব আসনের এমপিদের মধ্যে অন্তত ৯০ জন যদি তার পক্ষে থাকেন, তাহলে ক্যাসিফের আসন টিকে থাকবে; আর যদি এর বিপরীত ঘটনা ঘটে— তাহলে নেসেট থেকে বহিষ্কৃত হবেন তিনি।

ওফের ক্যাসিফ ইসরায়েলের কমিউনিস্টপন্থি দল হাদাশ পার্টির নেতা। এই দলটি নেসেটের অন্যতম বিরোধী দল আরব তায়াল পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক। আরব তায়াল পার্টিও বামঘেঁষা রাজনৈতিক দল।

গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করে জাতিসংঘের আদালত। মামলার অভিযোগপত্রে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনার পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।

গত সপ্তাহে সেই মামলার রায় দিয়েছে জাতিসংঘ আদালত। সেই রায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির ইস্যুটি এড়িয়ে গেছেন আদালত; তবে উপত্যকায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এই মামলা দায়েরের পর নেসেটে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন বিরোধী এমপিরা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেছিলেন তারা। আর এই আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সামনের সারিতে ছিলেন ক্যাসিফ। মূলত এ কারণেই তাকে অভিশংসনে পড়তে হচ্ছে তাকে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ