মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

গাজায় গণহত্যা নিয়ে আইসিজের রায় আজ, মানতে কি বাধ্য ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) আজ ২৬ শে জানুয়ারি (শুক্রবার) ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা, গণহত্যার মামলার অন্তর্বর্তী রায় দেবে। এই রায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যায় কিনা সেটা দেখার জন্য সারা বিশ্ব ‍উৎসুক।

দক্ষিণ আফ্রিকা অন্তর্বর্তীকালীন যেসব বিষয়ে রায় চেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করা এবং গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশে বাধা না দেওয়া।

ইসরাইল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা উভয়েই আইসিজের সদস্য হওয়ায় তারা এই আদেশ মানতে বাধ্য। আর অন্তর্বর্তী আদেশও ইসরাইলের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।

আইসিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সকল অনুরোধ মানতে পারে। আবার সবই প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই জোরালোভাবে মামলাটি উত্থাপন করেছে। ফলে তাদের পক্ষেই রায় যাওয়ার সম্ভাবনা অধিক।

ধারণা করা হচ্ছে, নেদারল্যান্ডসের হেগে স্থানীয় সময় শুক্রবার ১টায় প্রকাশ্য আদালতে এই রায় দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আইসিজেতে এখনো মূল গণহত্যার অভিযোগের শুনানি হয়নি। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে পারে আইসিজে। ইসরাইল অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মুখপাত্র এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যালেদি প্যান্ডর আদেশের সময় হেগে উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, মামলার আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের সাথে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গাজায় ইসরাইলি বাহিনী আন্তর্জাতিক অপরাধ, যেমন মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ, এর পাশাপাশি গণহত্যা বা এ সম্পর্কিত অপরাধের সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আবেদনে আরো বলা হয়েছিল, ইসরাইলের এই আচরণ গণহত্যামূলক। কারণ তারা ফিলিস্তিনি জাতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালাচ্ছে।

গত ৩০শে ডিসেম্বের (২০২৩) শনিবার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই ১১ জানুয়ারি (সোমবার) শুনানি শুরুর দিন ধার্য করা হয়।

গত ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমানবাহিনী। ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থলবাহিনীও। ইসরাইলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন। এ ছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায়সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। অন্য দিকে হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছিলেন এক হাজার ২০০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

আইসিজের স্থায়ী বিচারপতির সংখ্যা ১৫। তবে মামলার দুই পক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরাইল একজন করে অস্থায়ী বিচারপতি পাঠাতে পারে।

এই আদালতের বর্তমান সভাপতি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের জুয়ান ডোনোহুই। অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, স্লোভাকিয়া, জ্যামাইকা, জাপান, ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, মরক্কো, সোমালিয়া, লেবানন ও উগান্ডার।

জেএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ