সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিক্ষক মানবতার নির্মাতা ও সমাজগঠনের দিশারী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় মুসলিমদের ওপর বুলডোজার অভিযান জামায়াতের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই : রুমিন ফারহানা লাগাতার অগ্নিকাণ্ড রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট  ষড়যন্ত্র: মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ভারতীয় সংস্থাগুলোর যেভাবে কাশ্মীরীদের সম্পত্তি দখল করছে গণভোট আয়োজনে সরকারের গড়িমসি উদ্বেগজনক: জামায়াত বিহার নির্বাচনে মাঠে ৩৬ মুসলিম প্রার্থী আফগানিস্তান যুদ্ধ চায় না, তবে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে নীরব থাকবো না

পালিয়ে ভারতে আশ্রয় ‍নিচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

বিদ্রোহী বাহিনী ও জান্তা সরকারের মধ্যে লড়াইয়ের কারণে মিয়ানমারের শত শত সেনা ভারতে পালাচ্ছে। এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে সতর্ক করেছে মিজোরাম সরকার। প্রতিবেশী দেশের সৈন্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে রাজ্যটি।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমারের প্রায় ৬০০ সেনা ভারতে প্রবেশ করেছে। সরকারি সূত্র বলেছে, পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মিরা সেনাদের ক্যাম্প দখলে নেওয়ার পর তারা মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছিল। সেনাদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যে জরুরি আলোচনার তাড়না দিয়েছে।

সরকারি সূত্র বলছে, মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর এটির প্রভাব সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে আবেদনটি এসেছে।

পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা চলমান পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মানুষ মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি। মিয়ানমারের সৈন্যরা আসছে, আশ্রয় খুঁজছে। আগে আমরা তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতাম। প্রায় ৪৫০ সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

অক্টোবরের শেষের দিকে তিনটি জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে এবং কিছু শহর ও সামরিক পোস্ট দখল করে। এতে সেনারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে জান্তা সরকার।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ