বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
তাফসীরুল কুরআন মাহফিল, ফেরাকে বাতেলা বিষয়ক কর্মশালা ও ফুযালা পূর্ণমিলনী-২০২৫ এখন জনগণের ভয়ে সরকার পোস্ট ডিলিট করে - আসিফ মাহমুদ নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের ৭ জন নিহত বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস শ্রীপুর উপজেলার উদ্যোগে  জুলাই আন্দোলনের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী গা/জা দখল করবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত ইস/রায়ে/লের: ট্রাম্প মিছিল শেষে ফেরা হলো না ইসলামী আন্দোলন নেতার মৌলভীবাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে খেলাফত মজলিসের সমাবেশ ও গণমিছিল খেলাফত মজলিস কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার মাসিক নির্বাহী সভা বিজয় র‌্যালি থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতার ইন্তেকাল, মহাসচিবের শোক জুলাই শহীদদের স্মরণে স্কুল শিক্ষার্থীদের গণ-কুরআন খতম

জুলাই শহীদদের স্মরণে স্কুল শিক্ষার্থীদের গণ-কুরআন খতম


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের স্মরণে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী ধর্মীয় আয়োজন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদি মসজিদ চত্বরে আয়োজন করা হয় ‘স্কুল শিক্ষার্থীদের গণ-কুরআন খতম’। এই আয়োজনে অংশ নেয় কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী। পুরো আয়োজনটি পরিচালনা করে আফতার স্কুল মাক্তাব বাংলাদেশ, আর সহযোগিতায় ছিল তরুণ আলেম প্রজন্ম কিশোরগঞ্জ।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই ব্যতিক্রম ধর্মী কর্মসূচিতে দারুল আরকাম ইনস্টিটিউটের কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন শাখার স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা একযোগে অংশগ্রহণ করে। আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী ইবাদতের মাঝে সম্পন্ন হয় ১০ খতম কোরআন, এরপর শহীদদের স্মরণে করা হয় বিশেষ মোনাজাত।

এই আয়োজনটি শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস সচেতনতা, আত্মত্যাগের মর্যাদা এবং ইসলামি মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি সফল প্রয়াস বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোরআন খতম শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত অতিথিরা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতেই এই আয়োজন। পাশাপাশি শহীদগণের আত্মার মাগফেরাত কামনা।

আলোচনায় বক্তৃতা রাখেন—জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বীর আহমদ রশীদ, কবি ও লেখক মাওলানা সাইফ সিরাজ, দারুল আরকাম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, জামিয়ার নায়েবে মুহতামিম, আবু বকর মুফতি আব্দুল্লাহ সাদেক, দারুল আরকাম ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক মাওলানা আকরাম খন্দকার, শিক্ষক ও সংগঠক মাওলানা এ কে এম নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন, ‘শহীদদের স্মরণে শিশুদের নিয়ে কোরআন খতম কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত করার এক অনন্য পন্থা। কিশোর বয়স থেকেই দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও ইসলামী চেতনার বীজ বপন করতে হবে—এই আয়োজনে তা ঘটেছে।’

বক্তারা বলেন, মৃত্যুর পর মাইয়াতের জন্য, কোরআন তেলাওয়াত ও বেশি বেশি দোয়া পড়তে হবে। যা তাদের আমলে লিপিবদ্ধ হবে।  সেজন্যই যারা আন্দোলনের শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য এমন আয়োজন খুবই কার্যকরী। সেই সাথে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য এমন আয়োজন হওয়া উচিত দেশব্যাপী।

শেষে এক আবেগঘন পরিবেশে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শিব্বীর আহমদ রশীদ।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ