পুরান ঢাকার মিডফোর্ডে যুবদলের নেতাকর্মীদের হাতে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে খুন হওয়া ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের ছেলে সোহানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মারকাতুজ তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল শায়খ নেছার আহমাদ আন-নাছিরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই প্রার্থী জানিয়েছেন, সোহাগের পরিবারের সম্মতি পেলে তিনি তার ছেলের পুরোপুরি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
শনিবার (১২ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে শায়খ নেছার আহমদ আন-নাছিরী লিখেন- ‘শহীদ সোহাগ ভাইয়ের ছেলের পড়ালেখার সকল দায়িত্ব আমি নিতে চাই। এতিম ছেলেটার কান্নায় হৃদয় চৌচির হয়ে যাচ্ছে, আহ!’
পরে তিনি আওয়ার ইসলামকে জানান, বীভৎসভাবে খুন হওয়া সোহাগের ছেলে মাদরাসায় পড়তে চাইলে তিনি সেই ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে তার নিজের মাদরাসার পাশাপাশি অন্য যেকোনো মাদরাসায় চাইলে পড়তে পারবে। এছাড়া সে যদি চায় স্কুলে পড়বে সেখানেও তার পুরো খরচ বহন করা হবে। পড়াশোনা ছাড়াও যাবতীয় খরচ বহনের ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা জানান হাফেজ গড়ার কারিগর শায়খ আন-নাছিরী।
সোহাগের ছেলে সোহানের বয়স ১১ বছর। সে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। এছাড়া তার ১৪ বছরের বোন সোহানা পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সোহাগকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে যুবদলের কয়েকজ৭ন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জে থাকতেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনায়।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডটি আলোচনায় আসে দুই দিন পর শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এনএইচ/