শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আইনশৃঙ্খলার অবনতি নির্বাচনী পরিবেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে: জোনায়েদ সাকি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিকেল পাঁচটায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে অংশ নেয় সাতটি রাজনৈতিক দল ও হেফাজতে ইসলাম। রাজনৈতিক দলগুলো হলো, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় গণফ্রন্ট। এর আগে গত রোববার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে জোনায়েদ সাকি জানান, তাঁরা দুটি মূল বিষয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে উত্থাপন করেছেন—নির্বাচনী পরিবেশ এবং বিচার-সংস্কার। তিনি বলেন, “সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এর প্রভাব নির্বাচনী পরিবেশেও পড়ছে।”

তিনি আরো বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে।

বিচার ও সংস্কার প্রসঙ্গে সাকি বলেন, “বিচার দৃশ্যমান করা যেমন জরুরি, তেমনি সংস্কার বাস্তবায়নের রূপরেখাও স্পষ্ট করা জরুরি।” যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য আছে এবং সংবিধান সংশ্লিষ্ট নয়, সেগুলো বর্তমান সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং পরে সংসদ তা বৈধতা দিতে পারে।

অন্যদিকে, সংবিধান সংশ্লিষ্ট যেসব বিষয়ে এখনও ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোর চূড়ান্ত ফয়সালা জনগণকেই করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ জন্য আগামী নির্বাচনের নামকরণ “সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন” করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে একদিকে সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের অনুমোদন হবে, অন্যদিকে নির্বাচিত সংসদ পাঁচ বছর মেয়াদে সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ