শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

মেয়র পদ ফিরে পাওয়া নিয়ে সমালোচনা, জবাব দিলেন ইশরাক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা আসার পর থেকে বিভিন্ন আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলের নির্বাচনকে ‘ভুয়া’ দাবি করে আসা ইশরাক কি মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন? যদিও গতকালই এই প্রশ্নের উত্তর দেন ইশরাক। তিনি বলেন, ‘শপথ নেব কি না সেটি দলের সিদ্ধান্ত।’

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিষয়গুলো স্পষ্ট করেছেন ইশরাক হোসেন। তার দাবি, ভোটে তিনি হারেননি, তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এদিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশা-ভ্যান ও অটোচালকদের মধ্যে ঈদ উপহার দিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটি। এ সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র হিসেবে ঘোষণা পাওয়ার বিষয়ে ইশরাক বলেন, আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরই আইন মেনে তিনি মামলা করেছিলাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি লড়াইয়ের পর এখন ন্যায়বিচার পেয়েছি।

একটি মহল তার আদালতের মেয়র ঘোষণার রায় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইশরাক হোসেন বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আদালতে গিয়েছিলাম, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইশরাক নির্বাচন নিয়ে মামলা করেছেন, এমন দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি স্পষ্ট করে ইশরাক বলেন, ‘অনেকেই হয়তো মনে করছে যে ৫ আগস্টের পর এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বা আমরা হয়তো এরপর এসে (২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর) এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন অনুযায়ী নির্বাচন হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ করতে হয় এবং সেই ৩০ দিনের মধ্যেই মামলাটি করা হয়েছিল।

পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আইনি বিধান থাকলেও বিগত ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের আমলে এটিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়।’
শপথ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, ‘এখন আমি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রায়টি পেয়েছি। রায় পাওয়ার পর গতকালও বলেছি এটা দলের সর্বোচ্চ ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে। সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

এসএকে/

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ